পে-স্কেল আন্দোলন যে কারণে পেছাল

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে সরকারি কর্মচারীরা। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির প্রতি শ্রদ্ধা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আজ কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। আগামী শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নেতারা। ঐক্য পরিষদের মূখ্য সমন্বক ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের সাত দফা দাবির আলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেলের সুপারিশ চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এ দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

ওসমান হাদির জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনায় নেতারা বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানই ছিল শহীদ ওসমান হাদির মূল পরিচয়। তিনি নিজের জীবন দিয়ে গেলেও বৈষম্যমুক্ত সমাজের স্বপ্ন থেকে কখনো সরে যাননি। সরকারি কর্মচারীরাও তার আদর্শ অনুসরণ করে বৈষম্যমুক্ত কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।

দোয়া ও মোনাজাত শেষে দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণার কথা থাকলেও হাদির প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং বর্তমান রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নেতারা স্পষ্ট করে বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকার যদি ১ জানুয়ারি থেকে পে-স্কেল বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ না নেয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. লুৎফর রহমান, সালজার রহমান, এম এ হান্নান, সেলিম মিয়া, ইছাহাক কবির, রফিকুল আলম, আবু নাসের খান, জিয়াউল হক, জাকির হোসেন, এ কে এম নুরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, খায়ের আহমেদ মজুমদার, বেলাল হোসেন, মাহবুব হোসেন তালুকদার, হুমায়ুন কবির, আসাদুর রহমান, সাবেরা সুলতানা, গিয়াস উদ্দিন, ফারুক মৃধা ও জাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।

এসএইচ