• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘ত্যাগের উৎসবের’ দিনে করোনা ও বন্যায় বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার আহ্বান


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩০, ২০২০, ০২:১২ পিএম
‘ত্যাগের উৎসবের’ দিনে করোনা ও বন্যায় বিপন্ন মানুষের পাশে থাকার আহ্বান

ঢাকা : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সকলের জীবনে আনন্দ কামনা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) এক শুভেচ্ছা ফখরুল বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করি। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ব্রতী হওয়াই কোরবানির মর্মবাণী। পশু কোরবানির পাশাপাশি মনের পশু কোরবানি দিয়ে জীবন-যাপনে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে ব্রতী হওয়া আমাদের কর্তব্য। কোরবানির সে শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, দেশ এখন এক চরম দুঃসময় অতিবাহিত করছে। করোনা মহামারী ও ভয়াবহ বন্যায় সারাদেশের মানুষ বিপর্যস্ত, অসুস্থতা ও ক্ষুধার জ্বালায় হাহাকার করছে অসহায় মানুষ। তাদের দিন কাটছে জীবন-মৃত্যুর অজানা আশংকায়। এর ওপর স্বেচ্ছাচারী শাসনের কবলে জনগণ অধিকারহীন ও বাকরুদ্ধ। অগণতান্ত্রিক শক্তির দানবীয় উত্থানে রাষ্ট্র ও সমাজে ভয় ও আতঙ্ক আধিপত্য বিস্তার করে আছে। অনির্বাচিত ভ্রুক্ষেপহীন সরকারদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীতে জনগণের জন্য কোন দায়িত্ববোধ থাকে না। জনগণের সাথে মশকরা করাই যেন তাদের একমাত্র কর্মসূচি। কয়েক মাস ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় কাতরাচ্ছে। অথচ সরকার নির্বিকার। বর্তমান সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নানা ধরণের প্রহসন ও নাটক প্রদর্শন করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে মুসলিম বিশ্বে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে। স্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতি বছর পশু কোরবানি দেয়। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা যোগায়। 

কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। যেকোনো উৎসব বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য নয়, উৎসবের রয়েছে একটি সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য। উৎসব মানবজাতির এমন এক সাগর তীর যেখানে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকলই সামিল হতে পারে। তাই স্বার্থচিন্তা পরিহার করে মানব কল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি-এই ‘ত্যাগের উৎসবের’ দিনে করোনা ও বন্যায় বিপন্ন মানুষসহ অসহায়-নিরন্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার।

তিনি বলেন, 'ঈদুল আজহা সকলের জীবনকে করে তুলুক আনন্দময়, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই'।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!