ফাইল ছবি
ঢাকা: জামায়াতে ইসলামী বলছে, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (প্রতিনিধিত্বভিত্তিক) পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আগামী নভেম্বরে জুলাই সনদে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব বাদ দিয়ে তারা সনদে স্বাক্ষর করবে না। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট ) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আগামীকাল (স্বাক্ষর অনুষ্ঠান) আমাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। তবে জুলাই সনদ ঘিরে যেসব বিষয় নিষ্পত্তি হয়নি, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ যদি দেখি, তাহলে আমাদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনো আপত্তি থাকবে না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, উভয় কক্ষে পিআর প্রস্তাবকে সনদে রাখার ব্যবস্থা করা উচিত এবং সেটি গণভোটে উপস্থাপন করতে হবে।
জামায়াতের এই নেতা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব রাখুন; সেটা গণভোটে দিন। যদি জনগণ তা গ্রহণ করে, মেনে নেওয়া হবে; গ্রহণ না করলে সেটাও মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু জনগণের মতামত জিজ্ঞেস না করে কীভাবে সেটাকে উপেক্ষা করা যাবে?”
তিনি আরও বলেন, কিছু মহল বলছেন এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন করা যাবে। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “এক দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে মেজর কিছু সমস্যা সৃষ্টি হবে। সে কারণে কোনোভাবেই এক দিনেই দুটো আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই নভেম্বরে গণভোট করা প্রয়োজন।”
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা গণতন্ত্রে উত্তরণে শ্বেতপত্র বা সংস্কারের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রেখে প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক হতে বলেন জামায়াত নেতা।
আলোচ্য ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ না করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এত সংস্কার করে লাভটা কী হবে, যদি একটা দলের পকেটে রাষ্ট্রকে ঢোকানোর জন্য এখনই বদলির একটা ডিজাইন সাজিয়ে নেওয়া হয়? প্রধান উপদেষ্টা যদি এ বিষয়ে আজই সাবধান না হন, তাহলে আমাদের সব রক্তদান, অভ্যুত্থান ও চার্টার বৃথা হয়ে যাবে।’
সেমিনারে উপস্থিত নেতারা কড়া ভাষায় দাবি জানান, জাতীয় সিন্ধান্ত প্রণয়ে সর্বজনীন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হলেই তারা সনদে স্বাক্ষরে রাজি হবেন। প্রস্তাবিত সূচি ও সময়সূচি সম্পর্কে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গণভোট অনুষ্ঠানের সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে জনগণের অভিমত নেয়ার কোনও বিকল্প নেই।
এসএইচ







































