• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দুবাইয়ে কুড়িয়ে পাওয়া ৮২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশি কফিলউদ্দিন


প্রবাস ডেস্ক নভেম্বর ১৩, ২০২১, ০১:৪০ পিএম
দুবাইয়ে কুড়িয়ে পাওয়া ৮২ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশি কফিলউদ্দিন

সম্মাননা নিচ্ছেন মোহাম্মদ কফিলউদ্দিন মুহুরী

ঢাকা : প্রশংসায় ভাসছেন মোহাম্মদ কফিলউদ্দিন মুহুরী (৪০) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে তিন লাখ রিয়াল ফেরত দিয়ে তিনি এখন সবার প্রশংসায় ভাসছেন। কফিলউদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার গোপালঘাটা গ্রামে।

এদিকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮২ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ায় এবং সততার এমন দৃষ্টান্তের জন্য দুবাই পুলিশ তাকে সম্মাননা জানিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে তার এই সততার খবর।

জানা গেছে, কফিলউদ্দিন আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ে রাস্তায় ওই পরিমাণ টাকা কুড়িয়ে পান। এর প্রকৃত মালিককে দীর্ঘদিন খুঁজে না পেয়ে অবশেষে তা পুলিশের কাছে ফেরত দেন। সম্প্রতি দুবাইয়ের নায়েফ থানায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে উপ-পরিচালক কর্নেল ওমর আশুর কফিলউদ্দিনকে সততা এবং ভালো আচরণের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা সনদ এবং একটি প্রতীকী উপহার তুলে দেন।

দেশটির নায়েফ থানার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার তারিক মোহাম্মদ নূর আহলাক আমিরাতের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য এবং সততার জন্য তার প্রশংসা করেন। 

তিনি বলেন, দুবাই পুলিশ সমাজের সকল অংশের সহযোগিতায় বিশ্বাস করে। কারণ এটি সমাজকে রক্ষা করতে এবং তাদের সুখ নিশ্চিত করতে বাহিনীর প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অবদান রাখে।

দুবাই পুলিশ কর্তৃক সম্মানিত হওয়ায় আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পেশায় রক্ষাণাবেক্ষণ ঠিকাদার কফিলউদ্দিন মুহুরী।

কফিলউদ্দিন জানান, দুবাইয়ের দেরায় আল সাবকার বুরি মসজিদ রোড এলাকায় থাকেন তিনি। গত ২৯ অগাস্ট দুপুরে তার বাসার কাছে একটি গাড়ি পার্কিংয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় কালো টেপে মোড়ানো একটি বান্ডিল দেখেন তিনি। তিনি কুড়িয়ে নেন এবং মালিকের খোঁজ না পেয়ে বাসায় রেখে দেন।

ওইদিন রাতে কালো টেপ খুলে রিয়ালের চকচকে নোটগুলো দেখতে পান। নোটগুলো আসল কিনা তা যাচাইয়ের জন্য মানি এক্সচেঞ্জে কাজ করেন এমন একজনের সহায়তা নেন। তার মাধ্যমে কফিল নিশ্চিত হন যে তা আসল টাকা। তিনি ঘটনাস্থলের পাশে রেস্টুরেন্টে জানিয়ে রাখেন যে, যদি কেউ এ অর্থের সন্ধানপ্রার্থী হন তাহলে যেন তার যোগাযোগ করা হয়।

গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও টাকার কোনো মালিক না পেয়ে ওই দিনই নায়েফ পুলিশ স্টেশনে জমা দেন কফিলউদ্দিন।

এক সন্তানের পিতা কফিলউদ্দিন বলেন, কখনো মানুষের সম্পদের ওপর লোভ করিনি। কারণ পরের টাকা দিয়ে কখনো বড় হওয়া যায় না। পরিবার থেকে এমন শিক্ষা পেয়েছি। তাই মালিক না পেয়ে টাকাগুলো পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করেছি।

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশিরা সৎ ও পরিশ্রমী হিসেবে প্রবাসে পরিচিত। তার এ সততা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম আরও বাড়াবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!