• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

জমজমাট জুতার বাজার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১২, ২০১৮, ০৪:২৩ পিএম
জমজমাট জুতার বাজার

ঢাকা : ঈদ সামনে রেখে এখন জমজমাট রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল। নতুন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে যেন রাতদিন নেই। গভীর রাতেও চলছে বিকিকিনি। রাজধানীতে অবশ্য ঈদের বাজার জমতে শুরু করে ১০ রমজানেই। সে সময় মূলত পোশাকের দোকানে ভিড় ছিল। ঈদ ঘনিয়ে আসায় পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে জুতা কেনার জন্য এখন উপচেপড়া ভিড় জুতার দোকানে।  

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে জুতার দোকান থাকলেও এলিফ্যান্ট রোড ও গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া মার্কেট জুতার সবচেয়ে বড় বাজার। গতকাল এলিফ্যান্ট রোডের জুতার বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্র্যান্ডের জুতার আউটলেটগুলোয় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বাটা, এপেক্স, লেভিস, জেলিস, লেদারেক্স, সাম্পান, বে-ইম্পোরিয়ামের মতো শো-রুমগুলোর বিক্রয়কর্মীদের যেন দম ফেলার সময় নেই। একই চিত্র ছিল এই রোডের ভিআইপি টাওয়ার, জাহান আরা ভবন ও চৌরঙ্গী ভবনের জুতার দোকানে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় ও আমদানি করা জুতার প্রতিও দেখা গেছে ক্রেতাদের আকর্ষণ।

এলিফ্যান্ট রোডের জাহান আরা ভবন ও চৌরঙ্গী ভবনের অধিকাংশ দোকানেই বিক্রি হয় চীন ও কোরিয়া থেকে আমদানি করা জুতা। রয়েছে ভারতীয় জুতাও। পাওয়া যায় উডল্যান্ড, ক্যাটপিলার, লোটো, হাসপাপিসহ বিশ্বখ্যাত প্রায় সব ব্র্যান্ডের জুতা। তবে মান ও দামের কারণে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি চায়না জুতার প্রতিই। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমদানি করা জুতার বেশিরভাগই পুরুষের। তাই দেশি কোম্পানিগুলো নারী ও শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইনের জুতা ছেড়েছে।

সাবা সুজের মালিক আনিসুল ইসলাম বলেন, আমাদের দোকানে অধিকাংশই জেন্টস আইটেম। চায়না ও কোরিয়ান জুতা বেশি। প্রায় সব ধরনের জুতারই চাহিদা রয়েছে। তবে কেডস আর ফরমাল জুতার চাহিদা কিছুটা কম। বাটার বিক্রয়কর্মী রাজু মল্লিক বলেন, ঈদ উপলক্ষে ফুটওয়্যার ও লেদারের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আমাদের কালেকশনে রয়েছে। জুতা, বেল্ট, মানিব্যাগ ও লেডিস পার্টস সবই আছে। পুরুষের আগ্রহ স্যান্ডেলের প্রতি হলেও নারী ও শিশুদের আইটেমই বেশি বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর এই বড় জুতার বাজারে সকাল থেকে মানানসই জুতা খুঁজছিলেন গৃহিণী নাসরিন লিনা। দুপুর ২টার দিকে তিনি বলেন, ড্রেসের সঙ্গে কালার ম্যাচ করে দুই পেয়ার স্যান্ডেল কিনব। অনেক শো-রুমে খুঁজেছি। পছন্দ হলেও দাম বেশি। তাই আরেকটু ঘুরছি। ঈদে পাঞ্জাবির সঙ্গে লোফার পছন্দ বেসরকারি চাকরিজীবী শাহিনুল ইসলামের।

তিনি বলেন, আজই পাঞ্জাবি-পাজামা কিনেছি। এখন পাঞ্জাবির সঙ্গে মানানসই একজোড়া লোফার কিনব। দেশীয় ব্র্যান্ডের তুলনায় চায়না ব্র্যান্ডের লোফারের দাম বেশ কম। ভাবছি চায়না ব্র্যান্ডই নেব। চৌরঙ্গী ভবনের ডেলসি সুজের ম্যানেজার খাদেমুল হক জানান, রোজার শুরু থেকেই বিক্রি ছিল বছরের অন্য সময়ের মতো। জুতার বাজারে ঈদের ভিড় শুরু হয় সাধারণত ২০ রোজার পর।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার থেকে ক্রেতার চাপ বেশি। ক্রেতা সামলাতে আমাদের অতিরিক্ত সেলসম্যান নিয়োগ দিতে হয়েছে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ক্রেতা আসছে। আশা করছি, এবার বিক্রি ভালোই হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!