• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘ঘন কালো চুল-তুলতুলে গাল, রাসেল হয়ে উঠলো আমাদের চোখের মণি’


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০২:৫৩ পিএম
‘ঘন কালো চুল-তুলতুলে গাল, রাসেল হয়ে উঠলো আমাদের চোখের মণি’

ছবি: অনলাইন থেকে নেয়া।

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ (১৮ অক্টোবর)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

বাবার আদরের শেখ রাসেল।

শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি শেখ রাসেল দিবসের-২০২১ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। 

এসময় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, রাসেল নামটি মনে আসলেই প্রথমে যে ছবিটি ভেসে ওঠে তা হলো-হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল ছোট-দুরন্ত এক শিশু। যে শিশুর চোখগুলো হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথাভরা অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব-যেখানে ভালোবাসা ও মায়া খেলা করে। রাসেলের যে দিন জন্ম হলো আমি, কামাল, জামাল, রেহানাসহ আমরা সবাই ভীষণ উৎকণ্ঠায় ছিলাম। সময় যেন থমকে গিয়েছিল। আমরা সবাই ঘুমে ঢুলুঢুল চোখ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম নতুন অতিথির আগমন বার্তা শোনার জন্য। মেঝ ফুফু এসে আমাদের খবর দিলেন যে, আমাদের ভাই হয়েছে। আমরা তখন খুশিতে আত্মহারা। কখন দেখতে পাবো ভাইটিকে সেই ভাবনায় অস্থির। কিছুক্ষণ পরে বড় ফুফু আমার কোলে তুলে দিয়েছিলেন ছোট রাসেলকে। মাথাভরা কুচকুচে ঘন কালো চুল, তুলতুলে নরম গাল। রাসেল হয়ে উঠলো আমাদের চোখের মণি।

মায়ের সঙ্গে শেখ রাসেল।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, রাসেলের জন্মের সময় আব্বা নির্বাচনী মিটিং করতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। তখনকার দিনে আজকের মতো মোবাইলফোন ছিল না। ল্যান্ডফোনই ছিল একমাত্র ভরসা। রাসেলের জন্মের খবর যেন রাতেই আব্বা পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আব্বার অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল। আব্বা বার্ট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে, অনুবাদ করে তার ব্যাখ্যা করে আমাদের ও মাকে শোনাতেন। আব্বা ও মা বার্ট্রান্ড রাসেলের ফিলসফি খুব পছন্দ করতেন। তাই রাসেলের জন্মের পর শখ করে নাম রেখেছিলেন ‘রাসেল’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদ শেখ রাসেলের মতো আর কেউ যেন কোনো দিন এমন নির্মমতার শিকার না হয় সেই কামনা করি। এ সময় শিশুরা যাতে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।  

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!