• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৯:১৪ পিএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ

ঢাকা:  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ অক্টোবর। এ আসর নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য রয়েছে বড় দুঃসংবাদ, অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্প্রচার নিয়ে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডলার সংকটের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে পারছে না দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় বিশ্বকাপ সম্প্রচারে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলো। 

ফলে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন দেশের কোটি ক্রিকেট ভক্ত। এছাড়া এ খাত থেকে আসা বিশাল অংকের রাজস্ব হারাতে পারে বাংলাদেশ সরকার।

এদিকে, এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বত্বের বকেয়া বিলও এখনো পরিশোধ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি না পাওয়ায় আটকে আছে বকেয়া বিল পরিশোধ। গত মাসে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের বিল শিগগির পরিশোধ করা না গেলে দেশীয় চ্যানেলগুলোর সঙ্গে সম্প্রচার স্বত্বধারীদের সুসম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এমনকি এই জটিলতায় আইসিসি থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্বের সুযোগও হারাতে হতে পারে।

সম্প্রতি একই জটিলতায় পড়ে শ্রীলঙ্কা। এ কারণে দেশটি জাতীয় দলের অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিজ দেশে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। 

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় ফেসবুক ও গুগলের বিজ্ঞাপন বাবদ প্রায় পাঁচ মাসের বকেয়া আটকে আছে। এতে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ।

সম্প্রচার স্বত্বের অন্যতম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মিডিয়াকমের সিইও অজয় কুমার কুন্ডু বলেন, আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি বিভিন্ন সময় সরকারের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক খেলার প্রচার স্বত্ব কিনেছি। এর বিপরীতে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাট ও ট্যাক্স পেয়ে আসছে। যদি বৈধভাবে টাকা পাঠানোর অনুমোদন বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অসাধুপথ অবলম্বন করবে। তাই বৈধপথে অর্থ পাঠানোর সুবিধার্থে যদি শিগগির ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসা যায়, সেটি সরকার এবং ব্যবসায়ী- উভয়ের জন্যই ভালো হবে।

এ বিষয়ে এশিয়াটিক মাইন্ড শেয়ারের এমডি মোর্শেদ আলম বলেন, বাংলাদেশ দল অংশগ্রহণ করায় বরাবরের মতো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরও দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। গতবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভালো করেছে। তাই ক্রিকেটারদের ঘিরে আমাদের আগ্রহ ও প্রত্যাশা বেড়েছে। এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচ সম্প্রচারে কোনো কারণে ব্যর্থ হলে খেলাধুলা নিয়ে পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে অনাগ্রহ তৈরি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রভাব ফেলবে।

স্পোর্ডিয়ামের সিইও জিয়াউদ্দিন আদিল বলেন, এশিয়া কাপের মতো একটি বড় ইভেন্ট বিশেষ বিবেচনায় সম্প্রচার করার পরও আমরা সম্প্রচার স্বত্বের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। এই অনিশ্চয়তায় আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া নারী এশিয়া কাপের সম্প্রচারে জটিলতা তৈরি হতে পারে। এতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক খেলা ঘিরে দেশীয় গণমাধ্যমে শতাধিক কোটি টাকার বিজ্ঞাপনকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের সুযোগ তৈরি হয়। এতে ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ মোটা অংকের রাজস্ব পায় সরকার।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School