ঢাকা: কাতারের বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম অঘটন ঘটিয়ে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছে সৌদি আরব।ম্যাচটিতে সৌদির পক্ষে ভিন্ন দুই ফুটবলার গোল করেছেন। একজন দলটির প্রধান স্ট্রাইকার সালেম আল সেহরি এবং অন্যজন উইঙ্গার সালেম আল দাউসারি।
কিন্তু সৌদির জয়ের নায়ক এই দুইজনের কেউই নয়। সৌদির জয়ের নায়ক হিসেবে অবশ্য চাইলে গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইসকেও বিবেচনায় আনা যায়। পুরো ম্যাচ জুড়ে এই সৌদি গোলরক্ষক ৫টি সেইভ দিয়েছেন। এরমধ্যে দুটি তো একদম গোললাইনের মুখ থেকেই।
তবুও এই ম্যাচে সৌদির জয়ের নায়ক হিসেবে এই তিনজনের কাউকে বিবেচনায় আনা উচিত হবে না। কারণ, এই ম্যাচে সবুজ জার্সিধারীদের আসল জয়ের নায়ক সৌদির কোচ হার্ভ রেনার্ড। এই কোচের দুর্দান্ত কৌশলের কাছেই যেন হেরে গেছে আর্জেন্টাইনরা।
সৌদি আরব দলের মাঠের বাইরে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোচ হার্ভি রেনার। তার অতীত ভেসে বেড়াচ্ছে এখন অন্তর্জালে। তিনি একজন ঝাড়ুদার ছিলেন। এরপর গতকাল হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনাকে হারানোর নায়ক। ৩০ বছর বয়সে তিনি যখন ফ্রান্সের দ্রাগনুইনারের কোচ ছিলেন তখন প্রশিক্ষণ সেশনের মাঝে ঝাড়ুদারের কাজ করতেন।
হার্ভি রেনারের এটা নতুন কোনো সাফল্য নয়। এর আগে একমাত্র কোচ হিসেবে দু’টি ভিন্ন দেশের হয়ে আফ্রিকা কাপ অব নেশনস জিতেছিলেন এই ফরাসি কোচ। রেনারের কোচিং ক্যারিয়ারও শুরু ফ্রান্সের ক্লাব দ্রাগিনিয়াঁর হয়ে। এরপর দায়িত্ব নেন ইংল্যান্ডের চতুর্থ স্তরের লিগের দল ক্যামব্রিজ ইউনাইটেডের। সে সময়টা একেবারেই ভালো যায়নি রেনারের।
কোচ হয়ে রেনার মূল চমকটা দেখান জাম্বিয়ার কোচ হয়ে। নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই কাপ অব নেশনসের ফাইনালে আইভরিকোস্টকে হারিয়ে শিরোপা জেতে জাম্বিয়া। এরপর আইভরিকোস্টের হয়েও একই শিরোপা জেতেন রেনার।
আইভরিকোস্ট থেকে তিনি পাড়ি জমান লিগ আঁ-র ক্লাব লিলে। এরপর ফেরেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে মরক্কোতে। দায়িত্ব নিয়েই মরক্কোকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিয়ে যান এই কোচ।
এরপর আবার রেনারের ঠিকানা সৌদি আরবে। দ্বায়িত্ব ছিল বাছাইপর্ব পার করে সৌদি আরবকে বিশ্বকাপের টিকিট এনে দেওয়ার। সেটা তো রেনার করেছেনই, এমনকি দেখালেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চমক।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :