• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলকে বিদায় জানালেন ওজিল


ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ২২, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
ফুটবলকে বিদায় জানালেন ওজিল

ঢাকা: পেশাদার ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণাটা দিয়েই দিলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসুত ওজিল।

আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে নিজের অবসরের কথা জানান রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্সেনালের এই সাবেক খেলোয়াড়। টানা চোটে নাকাল হয়ে এই ঘোষণা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ওজিল।

২০০৯ সালে জার্মানির হয়ে অভিষেকের পর ২০১৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলেন ওজিল। এর মাঝে ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির হয়ে জেতেন বিশ্বকাপ। 

২০১৮ সালে বিশ্বকাপে ব্যর্থতা এবং ফেডারেশনের সঙ্গে নানা ঝামেলায় জড়ানোর পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ওজিল। জাতীয় দলকে বিদায় বললেও ক্লাব ফুটবল চালিয়ে গেছেন। এবার সেই যাত্রারও ইতি টানলেন সাবেক রিয়াল তারকা।

চোটের কারণে ফুটবলকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়ে ওজিল বলেছেন, ‘গভীরভাবে বিবেচনার পর, আমি পেশাদার ফুটবল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। প্রায় ১৭ বছর ধরে পেশাদার ফুটবল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এই সুযোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞবোধ করছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে আমি চোটে ভুগেছি। ফলে এটা আরও স্পষ্ট হয়েছে যে ফুটবলে বড় মঞ্চ ত্যাগ করার সময় হয়েছে।’

ক্যারিয়ারে রিয়াল মাদ্রিদ-আর্সেনালের মতো শীর্ষ সারির ক্লাবে খেলেছেন ওজিল। জিতেছেন লা লিগা এবং এফএ কাপসহ বেশ কিছু ট্রফিও। বিদায়ের ঘোষণায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্তির কথা জানান ওজিল, ‘এই যাত্রাটা সাধারণ ছিল, যা কিনা স্মরণীয় সব মুহূর্ত এবং আবেগে ভর্তি। আমি আমার ক্লাবগুলোকে-শালকে ০৪, ওয়ের্ডের ব্রেমেন, রিয়াল মাদ্রিদ, আর্সেনাল, ফেনেরবাচে, বাসাকসেহির এবং যেসব কোচ আমার পাশে ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি সেই সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার বন্ধু হয়েছে।’

বিদায়ের মুহূর্তে নিজের পরিবার এবং বন্ধুদের অবদানকেও স্মরণ করেছেন ওজিল, ‘বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই আমার পরিবারের সদস্যদের এবং কাছের বন্ধুদের। প্রথম দিন থেকে ভালো এবং খারাপ সময়ে তারা আমার এই যাত্রার অংশ ছিল এবং ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়েছে।

ভক্তদের ধন্যবাদ দিয়ে ওজিল আরও বলেছেন, ‘সমর্থকদের ধন্যবাদ, যারা পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন এবং যে ক্লাবেই আমি খেলি না কেন, আমার প্রতি গভীর ভালোবাসা দেখিয়েছে। এখন আমার স্ত্রী আমিনে এবং দুই কন্যা ইডা ও ইলাকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে তাকাচ্ছি।’

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!