ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য সব দেশের ক্রিকেটাররা তাকিয়ে থাকেন। এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মেগা এই আসরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমানসহ বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটাররা। এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে চলেছে লঙ্কান ক্রিকেটাররাও।
নিলামে নাম দিয়ে দল পাওয়ার পর কয়েকটি দেশের ক্রিকেটারদের পেতে নানা জটিলতার মোকাবেলা করতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। আসন্ন আসর হতে সাকিব আল হাসান-লিটন দাসদের নিলামে অংশগ্রহণ নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে যাচ্ছে আইপিএলের দলগুলো।
দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বোর্ড এভাবে অসহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে সাকিবরা আইপিএলে হয়তো কোনও দলই পাবেন না। সেই দেশের ক্রিকেটারদের অগ্রাহ্য করা হবে নিলামের সময়।’
এর আগে আইপিএলে খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়ে বিসিবি বরাবর আবেদন করেন সাকিব-লিটনরা। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট রেখে তাদের আইপিএল খেলতে যেতে দিতে নারাজ বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। আইরিশদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে শেষে তিনি এই কথা জানান।
একটি ওয়েবসাইটে আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক বলেছেন, ‘আমাদের অভিযোগ করার কোনো জায়গা নেই। কারণ ক্রিকেটারদের ব্যাপারে বিসিসিআই বাকি বোর্ডগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করে।
কিন্তু সামনে থেকে কিছু দেশের ক্রিকেটার নেওয়ার ব্যাপারে দলগুলো সতর্ক হয়ে যাবে। এর আগে তাসকিন আহমেদও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) পাননি। এখন সাকিবদের ক্ষেত্রেও একই আচরণ। যদি ওরা ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলতে দিতেই না চায়, তাহলে নথিভুক্ত (নিলামের তালিকায়) করারই দরকার নেই। তবে আমরা নিশ্চিত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে সব দলের ধারণা বদলে যাবে।’
শুধু বাংলাদেশই নয়, একই শাস্তি প্রয়োগ হতে পারে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও। এবারের আইপিএলে শ্রীলঙ্কার ৪ ক্রিকেটার রয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থাকায় তারাও প্রথম সপ্তাহে খেলতে পারবেন না। অতীতে ইংল্যান্ড বোর্ডও সে দেশের ক্রিকেটারদের এনওসি দেয়নি। সে কারণে এবার থেকে কড়া অবস্থানে যেতে চায় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো।
সোনালীনিউজ/এআর







































