• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

‘১১ জন সেরাটা দিলে যে কোন দলকে হারাতে পারি’


ক্রীড়া ডেস্ক মে ৩০, ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
‘১১ জন সেরাটা দিলে যে কোন দলকে হারাতে পারি’

ঢাকা : বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিসিবির নিয়মিত আয়োজন গ্রিন রেড স্টোরিতে আজ প্রকাশিত হয়েছে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের সাক্ষাৎকার। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন তানজিম সাকিব। তবে জাতীয় দলের হয়ে এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে গেছেন তিনি।

জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকাটা স্বপ্নের মতো তানজিম সাকিবের কাছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই একটা স্বপ্ন থাকে যে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের দেশের হয়ে খেলবে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আমি আছি এটা অবশ্যই স্বপ্নের মতো। আমি যখন থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলি তখন থেকেই টার্গেট ছিল যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলবো।

তানজিমের দাবি তৈরী হয়েই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন। কখনো আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি পারবো না। আমি এভাবেই নিজেকে তৈরী করেছি যে আমাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডমিনেট করা লাগবে।

তানজিম নিজের বোলিং নিয়ে বলেন, পেস বোলার হিসেবে আমার হাইট ছয় ফিট না। তাই অবশ্যই আমার আলাদা স্কিল থাকা লাগবে। আমি বলটা স্কিট ও কাট করানোর চেষ্টা করি।

সুযোগ পেলে পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে জেতাতে চান ২১ বছর বয়সী এই পেসার। সবাই লক্ষ্য রাখে যে আমি বিশ্বকাপে খেলবো এবং ওইখানে নিজের সেরাটা দিতে পারি। খেলার সুযোগ পেলে পারফম্যান্সের মাধ্যমে যেন আমার দলকে বিজয় এনে দিতে পারি।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নামে মিল আছে তানজিম সাকিবের। সাকিবের কোন অভ্যাসটা নিজের মধ্যে দেখতে চান তাও জানিয়েছেন জুনিয়র সাকিব। আমি সাকিব ভাইয়ের মানসিকতাটা নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করবো। যে কোন পরিস্থিতিকে উনি শান্ত ভাবে সামলাতে পারে। এটা খুবই ভালো লাগে আমার।

তানজিম সাকিবের মতে নিজেদের দিনে যে কোন দলকে হারাতে পারে বাংলাদেশ। খুবই আত্মবিশ্বাসী আমাদের দলকে নিয়ে। আমাদের দল মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী। আমরা চাইলে যে কোন দলকে হারাতে পারি। আমাদের এগারো জন যদি ওইদিন মাঠে নিজের সেরাটা দিতে পারে, কোন দল ব্যাপার না ইনশাআল্লাহ। আমরা যে কোন দলকে হারানোর মত দ্ক্ষতা রাখি।

তানজিম সাকিবের প্রিয় ব্যাটসম্যান দলের সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়। নেটে দুজনের মধ্যে চ্যালেঞ্জ হয় বলেও জানান জাতীয় দলের হয়ে ৭ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি খেলা তানজিম সাকিব। তাওহীদ হৃদয় আমার ফেভারিট ব্যাটসম্যান। আমি সব সময় তার ব্যাটিং এনজয় করি। তার হিটিং আমার খুব ভালো লাগে। নেটে আমি যখন তাকে বল করি আমার ভালো লাগে কারণ, তার এবং আমার মধ্যে চ্যালেঞ্জিং ভাব কাজ করে। আমি বলি ছয় মারেন ছয় মারেন। সেও চ্যালেঞ্জ নেয়।

নিজের ব্যাটিং নিয়েও কথা বলেন, লোয়ার অর্ডারে যখন আমি ব্যাটিংয়ে নামি, দল যেটা আশা করে সেটা দিতে পারতেছি কিনা। আমি যখনই নামি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করি এবং আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি।

এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!