• ঢাকা
  • শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
 মুশফিক-মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে সুজন

‘আমি বুঝিনা, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’


ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
‘আমি বুঝিনা, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’

ঢাকা: মুশফিকুর রহিমের পর মাহমুদউল্লাহও বিদায়ের ঘোষণাটা দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার সংস্কৃতি কি কখনো দেখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখন বেশ কঠিন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় না বলার এই সংস্কৃতি নিয়ে আজ কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ।

২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দলকে বিদায় বলেছিলেন খালেদ মাহমুদ। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় তার দুই হাতে ছিল ফুলের তোড়া। বিদায় বেলায় চোখে জল ছলছল করলেও মুখে ছিল হাসি। সেই ঘটনার দুই দশক পরও সেটিই হয়ে থেকেছে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার একমাত্র ঘটনা।

মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো মাহমুদ বলেছেন, ‘ওদের ক্যারিয়ারটা (মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, তামিম) বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটা উজ্জ্বল ব্যাপার। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় নিয়ে এসেছিল ওরা। আমি মনে করি, মাঠ থেকে অবসর নেওয়াটা ওদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, যারা ওদের সমর্থক, যারা ওদেরকে ভালোবেসেছে এত দিন, তারাও ডিজার্ভ করে যে একটা বড় করতালির মধ্যে ওদের মাঠ থেকে বিদায় দেওয়া।’

আমি যখন অবসর নিয়েছি, তখন বলেছি এটা আমার শেষ ম্যাচ। যখন কেউ এটা বলে, তখন একটা আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার ব্যবস্থা করতে পারে।

ভক্ত-সমর্থকদের প্রসঙ্গ নিয়ে খালেদ মাহমুদ এরপর যোগ করেন, ‘আমরা যারা সমর্থক ছিলাম, আমরা যারা ওদের ক্রিকেটকে ভালোবাসি, সেই সুযোগটা (মাঠ থেকে বিদায় দেওয়ার) আমাদের হয়তো হলো না। কেন ওরা মাঠ থেকে অবসর নিল না, ওরাই ভালো বলতে পারবে। হয়তো ওদের কোনো একটা কারণ থাকতে পারে। যেটা আমার মতামত, কোনো ছেলেকে অভিষেকের দিন মাঠেই ক্যাপ পরানো হয়। খেলাটা ছাড়ার সময়ও যদি মাঠ থেকে বিদায় হয়, জিনিসটা আরও প্রেজেন্টেবল হয়। যে খেলাটা আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, সেটা ছাড়াটা আসলেও কষ্টের।’

তামিম ইকবাল সম্প্রতি জাতীয় দলে আর না খেলার কথা বলেছেন। কোনো ধরনের ঘোষণা না দিলেও মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্যারিয়ার শেষ বলেই ধরে নেওয়া যায়। সাকিব আল হাসানও আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন কি না, নিশ্চয়তা নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো না করার পর মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিককে নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ফেসবুক পোস্টে মুশফিক ওয়ানডে থেকে আর মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন।

সঠিক সময়ে তারা অবসর নিয়েছেন বলেই অবশ্য মনে করেন খালেদ মাহমুদ, ‘ওদের ক্যারিয়ারের যে সময়, দুজনেই ওয়াইজ ডিসিশন নিয়েছে। হয়তো ওরা চাইলে আরও কিছুদিন খেলতে পারত। সেটা কতটা ওয়াইজ হতো, আমি জানি না। মাঠ থেকে বিদায় নিলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো। মাহমুদউল্লাহ অবসর নিত, গ্যালারি ভরা দর্শক থাকত, মানুষের হাততালিতে বিদায় নিত, সেটা ওর জন্য বড় পাওয়া হতো। আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না। হলে ভালো হতো।’

মাঠ থেকে অবসর নিতে না পারায় অনেকেই বোর্ডের দায় দেখে থাকেন। তাদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের যোগাযোগ ঠিকঠাক হয় কি না, এ প্রশ্নও থাকে। তবে খালেদ মাহমুদ তেমন মনে করেন না, ‘আমি যখন অবসর নিয়েছি, তখন বলেছি এটা আমার শেষ ম্যাচ। যখন কেউ এটা বলে, তখন একটা আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনার ব্যবস্থা করতে পারে। বোর্ড কি কাউকে পুশ করতে পারে আপনি অবসর নেন? ওরা যদি বলত যে পরের সিরিজে অবসর নেব। তাহলে বিসিবি প্রস্তুতি নিতে পারে। ওরা যদি না বলে, বিসিবি বুঝবে কীভাবে। বিসিবিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।’  

এআর

Wordbridge School
Link copied!