• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল

রাতে চেলসি-পিএসজি মহারণ, কে হাসবে শেষ হাসি


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
রাতে চেলসি-পিএসজি মহারণ, কে হাসবে শেষ হাসি

ঢাকা: ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে চেলসি-পিএসজি। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

৩২ দল নিয়ে গেল ১৫ জুন শুরু হয়েছিল নতুন ফরম্যাটের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে চলতি এই প্রতিযোগিতায় টিকে আছে চেলসি-পিএসজি।

দুই দলেই রয়েছে তারকার ভিড়, নতুন সংযোজন ও জয়ের তীব্র আকাঙ্ক্ষা। এদিনই নির্ধারিত হবে, কে হবে বিশ্বের সেরা ক্লাব।

কোচ এনজো মারেস্কার অধীনে নতুনভাবে গড়ে ওঠা চেলসি গ্রুপ পর্বে খেলেছিল ফ্ল্যামেঙ্গো, ইএস তিউনিস ও লস অ্যাঞ্জেলস এফসির বিপক্ষে। ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়াটা অপ্রত্যাশিত হলেও বাকি ম্যাচগুলোতে খুব একটা সমস্যায় পড়েনি দলটি। এরপর নকআউট পর্বের ধাপে ধাপে বেনফিকা, পালমেইরাস ও সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

মারেস্কা নতুন খেলোয়াড়দেরও সাহস করে ব্যবহার করছেন টুর্নামেন্টে। এর মধ্যে অন্যতম হলেন ব্রাজিলের হুয়াও পেদ্রো, যিনি সেমিফাইনালে জোড়া গোল করে দল জিতিয়েছেন। তরুণ এই দলটি যেন থামতে জানে না, জয়ের নেশায় ছুটছেই অনবরত।

যদিও অনেকে বলছেন, চেলসির ফাইনালে ওঠার পথটা খুব কঠিন ছিল না। তবুও কাগজে-কলমে দলটি পিএসজির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ, বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন পেদ্রো নেতো, পেদ্রো ও কোল পালমার। যারা ব্লুজদের আক্রমণভাগে প্রাণ সঞ্চার করছেন।

তবে রক্ষণভাগ নিয়ে চিন্তায় আছে চেলসি। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই প্রতিপক্ষের কাছে গোল হজম করেছে দলটি। বিশেষ করে ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে হারটি ছিল সবচেয়ে বড় ধাক্কা।

অন্যদিকে গত মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর লুইস এনরিকের অধীনে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে পিএসজি। ২০২৪-২০২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন লিগ (প্রথমবার) জিতেছে তারা। এছাড়া ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউটে ইন্টার মিয়ামি ও রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে দাপটের সাথেই ফাইনালে উঠেছে ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাবটি।

পিএসজির সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছেন উসমানে ডেম্বেলে। সঙ্গে রয়েছেন দেজিয়ের দুয়ে, খভিচা কাভারাত্সখেলিয়া ও ফাবিয়ান রুইজরাও। যারা চেলসির রক্ষণকে চাপে রাখবে নিশ্চিতভাবেই।

চেলসির জন্য আরও চিন্তার বিষয় হলো পিএসজির দুই উইংব্যাক নুনো মেন্ডেস ও আশরাফ হাকিমি। যারা চেলসির কুকুরেল্লা ও রাইট-ব্যাকে খেলতে যাওয়া রিস জেমস বা মালো গুস্তোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।

মাঠের ফর্ম ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছে পিএসজি। এখন দেখার বিষয়, চেলসি চমক দেখাতে পারে নাকি ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব আরও একবার প্রমাণ করে।

এআর

Wordbridge School
Link copied!