• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ছায়ানটের আয়োজন 

অর্ধশতক পরে ফের ‘আলোকের ঝর্ণাধারায়..’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ১০:৩৬ পিএম
অর্ধশতক পরে ফের ‘আলোকের ঝর্ণাধারায়..’

ঢাকা: বাংলা ১৪২৪ সালকে বরণ তথা নববর্ষকে বরণ করতে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মূলত ফিরে যাবে পঞ্চাশ বছর আগের সেই মুহূর্তে। ছায়ানটের উদ্যোগে বর্ষবরণের প্রথম আয়োজনের প্রথম গানটি ছিল ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও...আপনাকে লুকিয়ে রাখা.......’। সেই গানটি এবার ১১৫ জন শিল্পী একযোগে গাইবে বর্ষবরণের সূচনা সংগীত হিসেবে।

সত্তরের দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু করে ছায়ানট। সেই আয়োজন এখনো চলছে। তারপর থেকে বুড়িগঙ্গা ও সিন্ধু নদে পানি গড়িয়েছে অনেক। স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। সেই আয়োজনের বয়স এখন পঞ্চাশ। তখন থেকেই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতীক হয়ে উঠে ছায়ানটের বর্ষবরণ।

বর্ষবরণ আয়োজনের অর্ধশত বছর পূর্তির এই সন্ধিক্ষণকে এবার ভিন্নমাত্রায় মনে করার উদ্যোগ নিয়েছে ছায়ানট। বাংলার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছে, ছায়ানট সদস্যদের সেদিনের সেই দুঃসাহসিক উদ্যোগের কথা।

১৯৬৭ সালের সেদিনের আয়োজনের প্রথম গানটি ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও.. স্মরণ করতেই এবার প্রভাতী আয়োজন শুরু হবে একই গান দিয়ে। সুললিত কণ্ঠে এই সংগীতে কণ্ঠ মেলাবেন ছায়ানটের ১১৫ জন শিল্পী।

ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারের আয়োজনে কিছু নতুনত্ব থাকবে। মঞ্চ সজ্জায় আনা হবে পরিবর্তন। আনন্দ, মানবতা, দেশপ্রেম, গণজাগরণ ও উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গান দিয়ে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে তালিকা।

সংগীতের পরে এবারই প্রথম আয়োজন করা হয়েছে অতিথি শিল্পীদের পালাগান। দিলু বয়াতি ও তার দলের শিল্পীরা পরিবেশন করবেন ‘দিওয়ানা-মদিনা’ পালা। ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এর আগে কখনোই পালা গানের আয়োজন করা হয়নি।

রমনার বটমূলে ভোর ছয়টা দশ মিনিটে সারদ বাজানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে বর্ষবরণ। এরপরেই গাওয়া হবে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়....।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!