• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অল্প সময়েই রাজনীতিতে আলোচনায় ঐক্যফ্রন্ট


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ১৩, ২০১৮, ০৯:৪১ পিএম
অল্প সময়েই রাজনীতিতে আলোচনায় ঐক্যফ্রন্ট

ঢাকা : ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন একমাস বয়সী সরকারবিরোধী প্রধান জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে এলেও, বর্তমান সরকারের অধীনেই ভোটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত এই জোট।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যৌথ নেতৃত্বে সেপ্টেম্বরে দৃশ্যমান হতে থাকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

একাধিক ঘরোয়া বৈঠক শেষে গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সমাবেশ করে এই জোট। এতে যোগ দেয় বিএনপি ও এর জোটসঙ্গী কয়েকটি দল। সমাবেশ থেকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে সব দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারকে সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরপর থেকেই জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে বিএনপির প্রতি বারবার আহ্বান জানান বিকল্প ধারার নেতা বি চৌধুরী।  

অন্যদিকে, ২০ দলীয় জোটে জামায়াত থাকলেও, বিএনপিকে নিয়ে ঐক্য গড়ার পথে এগুতে থাকেন ড. কামাল হোসেন।  এ নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান দুই নেতার মধ্যে মতবিরোধ তীব্র হতে থাকে।

টানাপোড়েনের মধ্যে ১৩ অক্টোবর বিএনপিকে নিয়ে বিকল্পধারাকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে এই জোটে যোগ দেয় জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে, সংসদ ভেঙ্গে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি জানায় ঐক্যফ্রন্ট। একইদিনে একইসময়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বি. চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর চক্রান্তে নেই বিকল্পধারা।

এর দশদিন পর ২৪ অক্টোবর, সিলেটে প্রথম সমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরে চট্টগ্রাম, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও রাজশাহীতে সমাবেশ করে সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এই জোট। এরমধ্যেই পহেলা নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর নির্বাচন নিয়ে দরকষাকষি করতে সরকারের সঙ্গে দুই দফা সংলাপ করে ঐক্যফ্রন্ট।  এরপর ৮ নভেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তফসিল ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ নভেম্বর বৈঠকে বসে ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। তারপর জামায়াতসহ জোট শরিকদের নিয়ে আরেকটি বৈঠক করে দলটি। এরপর হয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক। অবশেষে ১১ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!