• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আটক বিএনপিপন্থি আইনজীবী


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ১২:৪৫ পিএম
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আটক বিএনপিপন্থি আইনজীবী

ঢাকা: কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি করার অভিযোগে বিএনপিপন্থি এক আইনজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হয়েছে।

এদিকে, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকালেই আদালত চত্বর থেকে সাধারণ জনগণকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আদালত শুরুর পর সংক্ষিপ্ত বিরতির সময়ে দুপক্ষের আইনজীবীরা স্লোগান দেন।      

বৃহস্পতিবার বিবাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন করে মোট ৬০ জন আইনজীবী এ শুনানিতে উপস্থিত আছেন। বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি পেছানোকে কেন্দ্র করে ৫ ডিসেম্বর আদালত কক্ষে বিএনপির সমর্থক আইনজীবীদের অবস্থান ও হট্টগোলের কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা আপিল বিভাগের কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। 

এ পরিস্থিতিতে আদালত কক্ষে ৮টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। এই প্রথম সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিতভাবে আদালতের বিচারকাজ পরিচালনা হচ্ছে। গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা না পড়ায় জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য সময় চান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ প্রেক্ষাপটে শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর আজ ধার্য করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। এরপর বিএনপির আইনজীবীরা শুনানির তারিখ এগিয়ে আনতে আদালতকক্ষের ভেতরে হইচই শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ারপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের উদ্দেশ্যে আপিল বিভাগ বলেন, আজকের শুনানিতে উভয়পক্ষের ৩০ জন করে আইনজীবী থাকবেন। এই বলে আদালত বিরতিতে যান। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। 

এই জামিন আবেদনের শুনানিতে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বোর্ডের মেডিকেল রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৫ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা না পড়ায় শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর আজ তারিখ ধার্য করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!