• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আন্তর্জাতিক অঙ্গন মাতালো মাইলস


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ০১:২০ পিএম
আন্তর্জাতিক অঙ্গন মাতালো মাইলস

ঢাকা : মাইলসের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক আয়োজন অবশেষে শেষ হলো। অস্ট্রেলিয়া কনসার্টের মাধ্যমে এ আয়োজন শেষ হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া মিলে ২৮টি কনসার্ট করে মাইলস।

যার মধ্যে ১৮টি যুক্তরাষ্ট্রে, ৭টি কানাডায় এবং ৩টি অনুষ্ঠিত হয় অস্ট্রেলিয়ায়। একটানা এত বড় বিদেশ সফর বাংলাদেশের কোনো ব্যান্ডের জন্য এটাই প্রথম।

অস্ট্রেলিয়ায় তিন কনসার্টের মাধ্যমে শেষ হয় তাদের এই সফর। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম কনসার্ট ছিল ১৯ অক্টোবর সিডনিতে, এরপর ২৬ অক্টোবর ব্রিসবেনে এবং ২ নভেম্বর মেলবোর্নে। চলতি বছরের ১৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে কনসার্টের ঘোষণা দিয়েছিল ব্যান্ডটি। যুক্তরাষ্ট্র সফরের মাধ্যমে শুরু হয়ে কানাডার পরে অস্ট্রেলিয়ায় মাধ্যমে শেষ হয় মাইলসের আন্তর্জাতিক সফর।

১৯৭৯ সালে জন্ম নেয় মাইলস। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তারা সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে বাজিয়েছিল। ১৯৮২ সালে তারা তাদের প্রথম অ্যালবাম বের করে ইংরেজি ভাষায়। এরপর তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মাইলস তাদের প্রথম বাংলা মিউজিক অ্যালবাম বের করে। অ্যালবামটির নাম দেওয়া হয় ‘প্রতিশ্রুতি’।

এর ভেতর ‘চাঁদতারা’ গানটি তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। তাছাড়া বাকি গানগুলোও জনপ্রিয় হয়েছিল। ‘প্রতিশ্রুতি’ অ্যালবামের অভাবনীয় সাফল্যের পর ১৯৯৩ সালে বাজারে মাইলসের দ্বিতীয় বাংলা অ্যালবাম ‘প্রত্যাশা’, যা বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে। এ অ্যালবামটি বের হওয়ার কয়েক মাসের ভেতরেই তিন লাখ কপি বিক্রি হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে।

দেশ-বিদেশে মাইলসের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে অডিও বাজারে প্রকাশ পায় ‘প্রত্যয়’, ২০০০ সালে ‘প্রতিধ্বনি’ ও ২০১৫ সালে ‘প্রতিচ্ছবি’। শুধু অ্যালবাম প্রকাশেই নয়, তারা জনপ্রিয়তায় আকাশচুম্বী সফলতা আনেন কনসার্টে গান করেও।

সাফলের খাতায় একসময় কালিমার দাগ পড়ে দ্বন্দ্বের মাধ্যমে। সফলতার দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ২০১০ সালে ব্যান্ড ছেড়ে দেয়ার প্রথম ঘোষণা দেন শাফিন আহমেদ। যদিও অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা ফের একসঙ্গে মঞ্চ মাতান গিটার হাতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। এরপর আবারো মাইলসে ভাঙন দেখা দেয় ২০১৭ সালে। আবারো ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে দর্শক মাতিয়ে চলছেন মাইলস।

মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কী জাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হূদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’, ‘প্রিয়তমা মেঘ’ ইত্যাদি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!