ঢাকা : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইফতি মোশাররফ সকাল। বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্র বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইফতি।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে বুয়েট বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল অন্যতম। তিনি রাজবাড়ী সদর থানার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির মোশারফ হোসেনের ছেলে।
এর আগে, ইফতি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
ইফতি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা উপ-কমিশনার জাফর হোসেন। তিনি বলেন, ইফতি আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জাফর হোসেন বলেন, আমি জবানবন্দি দেখিনি। তবে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জবানবন্দিটি এনে দেওয়ার পর সেটা আমি সিলগালা করে রেখে দিয়েছি। এমনটাই বলেন তিনি।
জবানবন্দী নেওয়ার পর সকালকে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পরে সোমবার যে ১০ জন গ্রেফতার হন, তার একজন হলেন- ইফতি মোশারফ সকাল। ইফতিসহ ওই ১০ জনকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। তার মধ্যে ইফতিই প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
আবরার হত্যাকাণ্ড মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ইফতিসহ ১২ জন এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার আসামিদের মধ্যে সাতজন এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোনালীনিউজ/এএস
আপনার মতামত লিখুন :