• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একসঙ্গে মা-বাবার লাশ দেখতে হলো সবুজকে


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০২:২৩ পিএম
একসঙ্গে মা-বাবার লাশ দেখতে হলো সবুজকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রীবাহী দু্ই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক যাত্রী।

নিহতদের মধ্যে একজন চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মজিবুর রহমান। তিনি শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। সোমবার রাতে স্ত্রী কুলসুমকে সঙ্গে নিয়ে উদয়ন ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজনই নিহত হন।

দুর্ঘটনার খবর শুনে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন তাদের ছেলে সবুজ। বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সারিবদ্ধভাবে রাখা মরদেহগুলো থেকে বাবা-মায়ের লাশ শনাক্ত করেন সবুজ। একসঙ্গে বাবা-মায়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নীশিতার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক যাত্রী। 

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ও রেলওয়ে থেকে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রাতেই রেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন।

মঙ্গললবার সকালে স্কাউট সদস্য ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!