• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গান গাইতেই আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করি


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:৪৫ পিএম
গান গাইতেই আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করি

ঢাকা : বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’র টাইটেল গানটির মাধ্যমেই কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আলোচনায় এসেছিলেন সুকণ্ঠী গায়িকা কনা। অডিও, চলচ্চিত্র কিংবা বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেল-সবখানেই কনার আনাগোনা। এখনকার ৮৫ শতাংশ বিজ্ঞাপনের ভয়েস কনার।

পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নতুন গান, স্টেজ শো নিয়ে তুমুল ব্যস্ত এই কণ্ঠশিল্পী। শীতের আগমনে স্টেজ মাতাতে ডাক পড়তে শুরু হয়েছে কনার। ইতোমধ্যে চলতি মাসের দুই সপ্তাহেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পাঁচটি কনসার্ট করেছেন কনা। তিনি বলেন, ‘সারা বছর গান নিয়ে ব্যস্ততা চললেও শীতের মৌসুমে ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

এ সময় রেকর্ডিং, সিনেমা, টেলিভিশনের পাশাপাশি স্টেজ শোর প্রস্তাব পাই অনেক। এখন শো ধীরে ধীরে বাড়ছে। চলতি মাসে এ পর্যন্ত পাঁচটি শো করেছি। এর মধ্যে একটি রাজশাহীতেও ছিল। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেজ শোর ব্যস্ততাও বাড়বে।’

শুধু স্টেজেই নন, সম্প্রতি দুটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনা। গত ১৭ নভেম্বর ‘লাইভ ফর লাইফ’ সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন। এর আগে ‘এনকাউন্টার’ সিনেমার একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। আরো কয়েকটি সিনেমার গান নিয়ে কথা হচ্ছে। সিনেমায় গান করে চলচ্চিত্রেও একটি শক্ত অবস্থান গড়েছেন কনা।

এজন্য সিনেমার গানে তার ব্যস্ততা একটু বেশিই বটে। কনা বলেন, ‘গান গাওয়াতেই আমার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ। গানকে ভালোবাসি, গান গেয়ে যাচ্ছি। গান ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না। আর সেই গান যে মাধ্যমেই গাই তাতেই আমার ভালো লাগে। তবে গত কয়েক বছরে সিনেমায় আমার গাওয়া অনেক গানই পছন্দ করেছেন দর্শক-শ্রোতারা। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কয়েকটি ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছি। সামনেও কিছু গান হওয়ার কথা রয়েছে। ব্যাটে-বলে মিললে করে ফেলব।’

বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল ও ভয়েস ওভারের ব্যস্ততা নিয়ে কনা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপনে জিঙ্গেল করা হয়। তবে বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর ভয়েস ওভার করছি। এর কোনো হিসাব নেই। দেখা যাচ্ছে সপ্তাহের পাঁচ দিনই আমাকে কোনো না কোনো বিজ্ঞাপনে ভয়েস ওভার দিতে হচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে, আমি এমনভাবে ভয়েস ওভারগুলো দিই, প্রচারের পর অনেকে ধরতেই পারে না এটা আমার কণ্ঠ।’

বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কণ্ঠের কাজ করলেও এর আগে মডেলিংয়ে দেখা গেছে কনাকে। ছোটবেলায় আফজাল হোসেনের পরিচলনায় ‘বেঙ্গল বিস্কুটে’র বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছিলেন কনা। মডেলিংয়ের বাইরে নাটকে অভিনয় করেও আলোচনায় ছিলেন কনা।

বর্তমানে অভিনয়ে দেখা-না দেখা নিয়ে কনা বলেন, ‘কিছু নাটকে অভিনয় করেছিলাম ঠিক, তা-ও অনেক আগে। কিন্তু এখন আর অভিনয় করছি না। অভিনয় আমার পেশাও নয়। ভবিষ্যতে আর অভিনয় করা হবে কি না তা বলতে পারছি না।’

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভিনদেশি সংগীত পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন কনা। বাংলার পাশাপাশি সিংহলি ও আরবি ভাষায়ও গান গেয়েছেন। কনা দেশের অনেক জনপ্রিয় সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছেন। সিনেমার গান, স্টেজ শো, টিভি অনুষ্ঠান ছাড়াও কনা নতুন গানও করছেন। কিছু করা আছে। আবার কিছু করছেন। নিজ উদ্যোগে একটি কাজ করছেন তিনি।

গানের বর্তমান পরিবেশ নিয়ে কনা বলেন, ‘কোম্পানিগুলো ভালো গানে বিনিয়োগ করছে। পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ছে। ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। যে কেউ ইউটিউবে গান প্রকাশ করতে পারছেন। এর নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই দিকই আছে। তবে ইতিবাচক দিকটাকে গ্রহণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমি আশাবাদী। আমার বিশ্বাস ইন্ডাস্ট্রি সামনে আরো ভালো দিকে যাবে।’

গানের মঞ্চে কনাকে যেমন দেখা যায় গাইতে, তেমনই কখনো তাকে দেখা যায় গানের বিচারক হিসেবেও। বর্তমানে আরটিভির একটি রিয়েলিটি শোর বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের মাঝসময়ে বিয়ে করেছেন কনা। বর ব্যবসায়ী গোলাম মো. ইফতেখার। বন্ধুমহলে তিনি গহীন নামে পরিচিত। দুই পরিবারের চাওয়া থেকে বিয়ের কাজটি সেরেছেন কনা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!