• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন শুনানি পেছাল


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৮, ০৮:৫২ পিএম
ডিজিটাল আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন শুনানি পেছাল

ঢাকা : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সুমনা আক্তার লিলি দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস্ সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। গতকাল ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করা হয়। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষের শুনানি করেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়াসহ আরও অনেকেই।

এর আগে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানোর এ আবেদন করেছিলেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানিতে ব্যারিস্টার মইনুল জামিনের আবেদন করেন। অপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী নজরুর ইসলাম (শামীম) এ জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছেন তার কপি এখনো পাইনি। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ে আবেদন করেছেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সদস্য সুমনা আক্তার লিলি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল।  এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী সাংবাদিকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সৌদি সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মইনুলের সমালোচনা করেন।

ব্যারিস্টার মঈনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ওই প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় মইনুলের নামে।

পরে কুমিল্লা ও কুড়িগ্রামেও মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় পাঁচ মাসেরএবং কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল।

তবে রংপুরে দায়ের করা মানহানির মামলায় গত ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!