• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

থিয়েটার আসলে গ্লোবাল


বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:৪৮ পিএম
থিয়েটার আসলে গ্লোবাল

ঢাকা : রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার চর্চা : আগামীর নাটক/ নাটকের আগামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক আবদুস সেলিম বলেন, ‘সংলাপ ও অভিনয় নাটককে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। কিন্তু এমন নাটক কখনোই বিলীন হবে না বা হতে দেওয়া উচিত হবে না। তবে নিরীক্ষা তো থাকবেই। থিয়েটার আসলে গ্লোবাল, সেজন্য বৈশ্বিক পরিবর্তনের ঝাঁজ আমাদের মঞ্চেও লাগবে।’

সেলিম বলেন, বাংলাদেশের গল্পবলা নাটকের কখনো মৃত্যু হবে না। কারণ ঐতিহ্যগতভাবে আমরা গল্প শোনার জাতি। তার ওপর দীর্ঘ ইংরেজ ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির আবেশে আমাদের নাট্যবিষয়ক ধারণাগুলো সনাতনি রয়ে গেছে এবং থাকবে।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী প্রতিকূল পরিবেশেও দেশের নাট্যচর্চা থেমে ছিল না। এ ভূখণ্ডের নাট্যচর্চার ইতিহাস স্বাধীনতার পর আরো বেগবান হয়েছিল। সে কারণে কোনো সামরিক শক্তি জাতির পিতার স্বাধীনচেতা প্রতিবাদী সংকল্প বাঙালি জাতিসত্তার গভীরে আঘাত করতে পারেনি। সামরিক শাসনের পাঁচ বছরের মাথায় গ্রুপ থিয়েটারের একটি নির্দিষ্ট প্রবণতা লক্ষ করা যায়। যার পথ ধরে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান প্রতিষ্ঠিত হয়।

আগামীদিনের নাটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীর নাটকে বৈশ্বিক পরিবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী হলো নাটকের যা কিছু আদি সংজ্ঞা আছে, তার সলিলসমাধি অনিবার্য। আমাদের গ্রুপ থিয়েটার চর্চায় তেমনটি এখনো লক্ষ করা যায়নি। তবে পরিবর্তনের আভাস স্পষ্ট। বিশেষ করে গত ২০ বছরে আমাদের নাটকের স্বভাব বৈশিষ্ট্যে প্রতুলতা লক্ষ করা যায়। ফলে নাটকের একরৈখিকতার বদলে বহুরৈখিক বিবর্তন আমাদের মঞ্চে দেখা গেছে। এগুলোর সবচাইতে স্পষ্ট দিল্লির এনএসডি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যতত্ত্বে শিক্ষাপ্রাপ্ত মানুষের ভেতর। যার প্রভাব পড়েছে বর্তমান তরুণ নাট্যামোদীদের মধ্যে।

অধ্যাপক সেলিম বলেন, বাংলাদেশের নাটকের প্রেক্ষাপটে আগামীতে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে মনে করি সেগুলো হলো- নারীবাদ বা সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবস্থান, রাজনীতি, মৌলবাদ, পুরান-লোকগাথা-ক্লাসিকের আধুনিক ব্যাখ্যা এবং অবশ্যই অনুবাদ ও রূপান্তর। তবে আমাদের নাটকের ধারাবাহিকতায় অতীতের মতো ভবিষ্যতেও গ্রুপ থিয়েটার চৈতন্য প্রণোদনার কাজ করবে, যদিও পেশাদার নাট্যচর্চার স্থানও উন্মোচিত হবে। অনেকেই মনে করেন সরকারি প্রণোদনা অতি জরুরি। যদিও আমি মনে করি গ্রুপ থিয়েটার প্রণোদনাটি আমাদের অন্তর্গত ঐতিহ্য।

স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যজন ড. ইনামুল হক, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!