• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পহেলা বৈশাখ সামনে বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ইলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৮, ২০১৮, ০১:৩৩ এএম
পহেলা বৈশাখ সামনে  বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ইলিশ

ঢাকা : বাজারে যারাই যাচ্ছেন, তারাই ‘ঢুঁ’ মারছেন ইলিশের দোকানে। কারণ বৈশাখ আসতে বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। ইলিশ ছাড়া অনেকেরই আনন্দের ষোলোকলা পূর্ণ হয় না পহেলা বৈশাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে ইলিশের চাহিদা। আর এ সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন মাছ ব্যবসায়ীরা। সুযোগ বুঝে ইলিশে বাজারে দামের উত্তাপ ছড়িয়েছেন তারা।

যদিও এখন দেশের প্রধান পাঁচটি অভয়াশ্রমের প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশ ধরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ওইসব এলাকায় প্রতিদিন চলছে মৎস্য অধিদফতরের অভিযানও। ফলে বাজারে তাজা ইলিশের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবু বাকি এলাকা থেকে ইলিশ আসছে টুকটাক। কিন্তু বাজারে গেলে ইলিশের সঙ্কট চোখে পড়বে না। কারণ বৈশাখী চাহিদা মেটাতে বাজারে আসছে প্রচুর পরিমাণে হিমায়িত ইলিশ। পহেলা বৈশাখের কথা মাথায় রেখে ইলিশ মজুত করেছিলেন মাছ ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া চাহিদা ও দাম বাড়ায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবৈধভাবে অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা হচ্ছে বলেও জানান কয়েক ব্যবসায়ী। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের কোনো কমতি নেই। তবে দাম বেশ চড়া। একেকটি মাঝারি আকারের ইলিশের দর উঠেছে দেড় হাজার টাকায়, যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যেত।  অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারে রাখা ইলিশের দাম এখনো তুলনামূলক কম।

ব্যবসায়ীদের ভাষায়, গত কয়েক দিনে ধরা পড়া ইলিশগুলোই তাজা ইলিশ নামে পরিচিত। রামপুরা বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের এক হালি কাঁচা ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ন্যূনতম ছয় হাজার টাকা। একই ওজনের হিমায়িত ইলিশের দাম ৪ হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে।  ওই বাজারের বিক্রেতা মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘মূল জায়গাগুলোয় ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। আর অভয়াশ্রমের বাইরে ধরা পড়া তাজা ইলিশের সরবরাহ খুব কম। তাই দাম চড়া।’

তার দাবি, দাম বেশি হলেও কোনো ইলিশ অবিক্রীত থাকছে না। ভোরে কারওয়ান বাজারের আড়তের আড়তদার খালেদ মিয়া জানান, অভয়াশ্রমের মোহনার বড় আড়তদাররা ঢাকায় কোনো ইলিশ সরবরাহ করছেন না। কিন্তু অভয়াশ্রমের বাইরে ইলিশ শিকার চলছে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ এলাকায়ও অবৈধভাবে জেলেরা জাল ফেলছেন। সেসব ইলিশই সরাসরি জেলেদের কাছ থেকে কিনে স্থানীয় ও শহরের বাজারে তুলছেন কিছু ব্যবসায়ী। আরেক ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী বলেন, বাজারে হিমাগারের ইলিশই বেশি বিক্রি হচ্ছে। হিমাগারের ইলিশের দাম কাঁচা ইলিশের থেকে অনেক কম।  

গতকাল মালিবাগ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টায়। আর ২ কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হয় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ওই বাজারের মাছ বিক্রেতা জামাল জানান, তিনি নিজে এবং তার মতো অনেক ব্যবসায়ী হিমাগারে ইলিশ মজুত রেখেছেন।

ফলে বৈশাখের আগে ইলিশের কোনো সঙ্কট হবে না। মৎস্য অধিদফতরের জাটকা সংরক্ষণ ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক এবিএম জাহিদ হাবিব বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। তবে ওই এলাকার বাইরে ইলিশ ধরা যাবে। মূলত সেসব এলাকা থেকেই বাজারে ইলিশ আসছে। কিন্তু জাটকার ক্ষেত্রে বিষয়টি অবৈধ। কারণ সব স্থানেই এ সময় জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!