• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ড


জেলা প্রতিনিধি জুলাই ২১, ২০১৯, ১১:৫০ এএম
পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ড

বরগুনা: আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন শনিবার (২০ জুলাই) বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে তাকে মিন্নি বলেছেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মোজাম্মেল হোসেন।

মিন্নির বাবা আরও বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই বলেছি।

এদিকে, অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!