• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁচার লড়াইয়ে কবর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুটি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম
বাঁচার লড়াইয়ে কবর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুটি

ঢাকা : উত্তর ভারতে একটি মাটির পাত্রে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়া যে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে- সে এখন জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জন্য লড়াই করছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সেপটিসেমিয়া এবং মারাত্মকভাবে কম প্লেটলেট গণনার কারণে শিশুটি সার্বিক পরিস্থিতি "গুরুতর" বলে জানিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ রবি খান্না।

তিনি বলেছেন, "তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমরা পাঁচ থেকে সাত দিন পরেই নিশ্চিতভাবে সেটা জানাতে পারব।"খবর বিবিসি বাংলা।

পুলিশ "অজ্ঞাত ব্যক্তিদের" বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে এবং বলেছে যে তারা এই কন্যা নবজাতকের বাবা-মাকে খুঁজছে।

শিশুটিকে এভাবে কবর দেয়ার পেছনে তারা সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। তবে লিঙ্গ বৈষম্যের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান খুবই খারাপ।

নারীদের প্রায়শই সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হন এবং মেয়েদের একটি আর্থিক বোঝা হিসাবে দেখা হয়, বিশেষত দরিদ্র সম্প্রদায়ে।

বারেইলি জেলার সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ‌আভিনন্দন সিং বলেছেন, শিশুটিকে কবর দেওয়ার পেছনে তিনি শিশুটির বাবা-মায়ের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ এই ঘটনাটি ব্যাপক প্রচারিত হওয়ার পরেও কেউই এই শিশুটিকে তাদের সন্তান দাবি করতে এগিয়ে আসেনি।

বৃহস্পতিবার ঘটনাক্রমে নবজাতকের সন্ধান পেয়েছিলেন গ্রামের এক বাসিন্দা। তিনি তার নিজের অপরিপক্ক অবস্থায় জন্ম নেওয়া একটি মৃত কন্যা শিশুকে কবর দিতে গিয়ে ওই নবজাতকের সন্ধান পান। হিন্দুরা সাধারণত তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে থাকে করে তবে নবজাতক এবং ছোট শিশুদের প্রায়শই কবর দেওয়া হয়।

সিং বলেন, "তারা যখন মাটির নীচে প্রায় ৩ ফুট

পর্যন্ত খনন করছিলেন, তখন তাদের কোদালটি একটি মাটির পাত্রে আঘাত করে এবং সেই আঘাতে পাত্রটি ভেঙে যায় এবং তারা একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। যখন তারা পাত্রটি টেনে ওপরে তুলে আনেন তখন এর ভেতরে তারা ওই শিশুটিকে দেখেন।"

শিশুটিকে এরপর স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!