• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির লক্ষ্য দল পুনর্গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি


বিশেষ প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৫, ২০১৯, ১২:০৫ পিএম
বিএনপির লক্ষ্য দল পুনর্গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি

ঢাকা : ধীরে ধীরে নির্বাচনের ‘শক ওয়েভ’ কাটিয়ে উঠছে বিএনপি। বিগত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ‘অপ্রত্যাশিত’ পরাজয়ের পর নেতাকর্মীদের ভেঙেপড়া মনোবল চাঙা ও দলকে সাংগঠনিকভাবে পুনর্গঠন করাকে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন পুনরায় জোরালো করার কথাও ভাবছে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশে একটি এক দলীয় রাষ্ট্র চলছে। স্বৈরাচারী শাসনে যেমন একদলীয় শাসন কায়েম হয়, তেমনি বাংলাদেশে শুধু একদলীয় শাসনই নয়, সরকার দেশকে একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, এ থেকে উত্তোরণ শুধু আমাদের (বিএনপি) জন্য চ্যালেঞ্জ নয়, পুরো দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, বাক স্বাধীনতার জন্যও বিরাট চ্যালেঞ্জ। সিভিল ও পুলিশি প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনরা তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছে। স্বাভাবিকভাবেই দলের নেতাকর্মীদের মনোবল কিছুটা হলেও ভেঙে পড়েছে। এখন নেতাকর্মীদের ভেঙে পড়া মনোবল ফিরিয়ে দলের পুনর্গঠনের দিকে নজর দেবে বিএনপি। একইসঙ্গে আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন আরও জোরালো করাও আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সব মহলে একটাই আলোচনা, বিএনপি এখন কী করবে?

কেননা হাতেগোনা কয়েকটি আসনে বিজয়ের পর নির্বাচন প্রত্যাখান করে সংসদে না যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে দলটি। সেজন্য বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের যে কয়েকজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা শপথও নেননি। রাজপথেও দৃশ্যত কোনো কর্মসূচি নেই। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে- কী করতে চলেছে বিএনপি।

তবে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, আগামী দিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামতে হলে সবার আগে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যেমন- ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি পুনর্গঠন জরুরি।

এ ক্ষেত্রে প্রথাগত কমিটি গঠন থেকে বেরিয়ে এসে কাউন্সিলে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এসব সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণের দাবি সাধারণ নেতাকর্মীদের।

নেতাকর্মীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রিজভী আহমেদ আরও বলেন, বিএনপির প্রতিটি ইউনিট কমিটি গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা, উপজেলাসহ সাংগঠনিক কমিটিগুলো গঠন করা হবে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, নির্বাচনের পর সারাদেশের প্রতিটি সংসদীয় এলাকা থেকে ক্ষমতাসীনদের ভোট ডাকাতির তথ্য-উপাত্ত কেন্দ্রে জমা দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে অধিকাংশ প্রার্থী এসব তথ্য, ভিডিও ফুটেজ (যদি থাকে), বিভিন্ন অভিযোগের প্রামাণ্য দলিলাদি, নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলার তালিকা কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। বাকিগুলোও দুএকদিনের মধ্যে জমা হবে বলে আমরা আশা করছি।

এ্যানী জানান, আগামীকাল (১৫ জানুয়ারি) আমাদের দলীয় আইনজীবীরা এসব বিষয় পর্যালোচনা করে দলকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এরপর নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে।

বিএনপির এই প্রচার সম্পাদক আরও বলেন, এরপর দল পুনর্গঠনে মনোযোগের পাশাপাশি আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন জোরালো করার পদক্ষেপ নেবে বিএনপি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!