• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিকের পর মোস্তাফিজকেও কিনলো না কেউ


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম
মুশফিকের পর মোস্তাফিজকেও কিনলো না কেউ

ঢাকা: সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হলো আসন্ন আইপিএলের মেগা নিলাম। কলকাতার বিখ্যাত পাঁচতারকা গ্র্যান্ড হোটেলে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হয় প্লেয়ার্স ড্রাফট। ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের প্রতিবাদে উত্তাল শহরটি। এর মধ্যেই সেখানেই গড়ালো ২০২০ আইপিএলের নিলাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের নিলাম শুরু হয়। তাই শুধু ভারতীয়রাই নয়, এই নিলামে চোখ থাকছে সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

আগামী বছর ২০২০ সালের ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসরের পর্দা উঠবে।  সিটি অব জয়খ্যাত কলকাতায় বসেছে আইপিএলের আসন্ন আসরের মেগা নিলাম।

ব্যাটসম্যানদের প্রথম সেটঃ ২ কোটি ভারতীয় রুপি ভিত্তিমূল্য ছিল অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিস লিনের। ভিত্তিমূল্যেই তাকে দলে টেনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৩ কোটি রুপিতে রবিন উথাপ্পাকে দলে টেনেছে রাজস্থান রয়্যালস। ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দিল্লি ক্যাপিটালস দলে নিয়েছে জেসন রয়কে। ৪ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে অ্যারন ফিঞ্চকে দলে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। অবিক্রিত থাকেন হনুমা বিহারি ও চেতেশ্বর পূজারা।

অলরাউন্ডারদের প্রথম সেটঃ ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের অস্ট্রেলিয়ান তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে টেনেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে ক্রিস ওকসকে কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ইউসুফ পাঠান ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম অবিক্রিত থাকেন। 

২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের প্যাট কামিন্সকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল ইতিহাসের নিলামে বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি দাম কামিন্সকে দলে টেনেছে কলকাতা। এর আগে ২০১৭ সালে বেন স্টোকসকে ১৪কোটি ৫ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টস। স্টোকসের রেকর্ড ভেঙে দিলেন কামিন্স।

এদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দুজন ক্রিকেটার নিলামে জায়গা পেয়েছেন। তারা হলেন- বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের ভিত্তিমূল্য ৭৫ লাখ রুপি। ৭৫ লাখ ভিত্তিমূল্যের মুশফিককে দলে টানেনি কেউ। ফলে নিলানে অবিক্রিত থাকেন তিনি।

অথচ বিপিলে সর্বশেষ ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনা টাইগার্স হয়ে ৫১ বলে ৯৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। নয়টি চারের বিপরীতে ছক্কা মেরেছেন চারটি। এমন ইনিংস দেখে বেজায় খুশি কোচ জেমস ফস্টার। তার মতে, মুশফিক ৩৬০ ডিগ্রি খেলোয়াড়। যিনি কিনা উইকেটের চারপাশ দিয়ে খেলতে পারেন। 

এই ৩৬০ ডিগ্রি কথাটার সাথে বেশি যায় প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তাঁকে বলা হয় মি. ৩৬০ ডিগ্রি। এদিন মুশফিকও যা করলেন তা কোনো অংশে ডি ভিলিয়ার্সের চেয়ে কম নয়। ফস্টার বলছেন,'সে খুবই উঁচু মানের খেলোয়াড়। সে কন্ডিশন ও পরিস্থিতি বুঝে যা দরকার তাই করেছে। সে একজন ৩৬০ ডিগ্রি খেলোয়াড়। গত কয়েক বছর তার বিপক্ষে খেলেছিলাম যখন আমি তখন খুলনা টাইটান্সের সঙ্গে ছিলাম। তার বিপক্ষে বোলিং করা খুবই কঠিন। সে খুবই শক্তিশালীও। সে একজন পরিপূর্ণ প্যাকেজ।'

আর সেখানে আইপিএলে আলোচনায় থেকেও বিক্রি হলেন না বাংলাদেশের রান মেশিন। একরকম অবহেলাই করা হলো তাকে। 

এদিকে, ১ কোটি ভিত্তিমূল্যের মোস্তাফিজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেনি কোনো দল। মুশফিকের পর আইপিএল নিলামে অবিক্রিত থাকেন মোস্তাফিজও। আইপিএলে নিজের প্রথম আসরেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। কিন্তু পরের আসরেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেন বিস্ময় সৃষ্টি করা বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজ। এরপর দুই আসর খেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।

কিন্তু আইপিএলের গত আসরে তাকে আর খেলার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক বছর বিরতি দিয়ে এবার আইপিএলে খেলার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশি এই পরের। কিন্তু নিলামে অবিক্রীতই থেকে গেলেন তিনি।

সম্প্রতি মোস্তাফিজের যে অফ ফর্ম, তাতে তাকে এতটাকা এই মুহূর্তে কোনো ফ্রাঞ্চাইজিই কেনার জন্য সাহস করেনি। সুতরাং, এবারও আইপিএলে খেলা হচ্ছে না আর এই বাঁ-হাতি পেসারের।

শুধু মোস্তাফিজ কেন। এবার পেসারদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন কিংবা নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিকে পর্যন্ত কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেনি কেউ। সেই একই কারণে হয়তো, মোস্তাফিজকেও কিনলো না কেউ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!