• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাবনূরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে


বিনোদন ডেস্ক জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৮:২৮ এএম
শাবনূরের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে

ঢাকা: নব্বই পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর মারা গেছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে খ্যাতিমান এই নায়িকার মৃত্যুর খবর। এমন উড়ো খবরে আতঙ্কিত ঢাকার সিনেপাড়া।

শাবনূর স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। যখন শাবনূরের মৃত্যুর খবরে সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া, তখন শাবনূরের বোন ঝুমুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শাবনূরের মৃত্যুর খবরটি মিথ্যে।

ঝুমুর বলেন, ‘কিছুদিন পর পর বিভিন্ন শিল্পীদের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করে আমার জানা নেই। শাবনূর আপার কিছুই হয়নি। তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন, বেঁচে আছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেই আছেন তিনি। শিগগিরই বাংলাদেশে ফিরবেন। কেউ দুশ্চিন্তা করবেন না। আর দয়া করে এমন গুজব ছড়াবেন না কেউ।’

১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন শাবনূর। তার পর্দার পেছনের নাম নুপুর। প্রথম চলচ্চিত্র কিংবদন্তি পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর ‘চাঁদনী রাতে’ মুক্তি পায়। সাব্বিরের বিপরীতে অভিনীত চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়।

তবে শাবনূরের মুগ্ধতার ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ ছবিটি দিয়ে। সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই নায়িকা ১৪টি ছবি করেন। তার সবগুলোই রেকর্ড সংখ্যকভাবে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সফল জুটিগুলোর অন্যতম। বলা হয়ে থাকে সালমান-শাবনূর জুটি ইন্ডাস্ট্রির মিথ।

পরবর্তীতে এদের আদর্শ মেনেই এখানে নায়ক-নায়িকার জুটি গড়ে উঠেছে। তবে সালমানের যুগে ওমর সানী, অমিত হাসান, আমিন খান, বাপ্পারাজদের সঙ্গেও অভিনয় করে সফলতা পান শাবনূর।

সালমান মৃত্যু পরবর্তী সময়ে রিয়াজ, শাকিব খান ও ফেরদৌসসহ অনেক নায়কের সঙ্গেই অভিনয় করে সফল হন শাবনূর। তবে রিয়াজের সঙ্গে প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধেন তিনি। এবং সবগুলো ছবিই ছিলো ব্যবসায়িকভাবে সফল এবং আলোচিত। বলা হয়ে থাকে, রিয়াজ-শাবনূর জুটির পর ঢাকাই চলচ্চিত্রে সার্বজনীনভাবে জনপ্রিয় সুপারহিট আর কোনো জুটি আসেনি।

এই জুটির ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘এ বাঁধন যাবে না ছিড়ে’, ‘মন মানে না’ ইত্যাদি ছবিগুলো মাইলফলক হয়ে আছে এদেশীয় চলচ্চিত্রে ব্যবসায়িক সাফল্যের ইতিহাসে।

দীর্ঘ অভিনয় জীবনে শাবনূরের সবচেয়ে বড় অর্জন ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসা। পাশাপাশি অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত দুই নয়নের আলো চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার ও সর্বাধিক ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার।

ব্যক্তি জীবনে ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদের সঙ্গে শাবনূরের আংটি বদল হয় এবং ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তাকে বিয়ে করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন ও নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি ছেলে সন্তানের মা হন। তার ছেলের নাম আইজান নিহান।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!