• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘৫ বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বাজার মূলধন হবে ২০ শতাংশ’


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০২০, ০৭:২০ পিএম
‘৫ বছরে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বাজার মূলধন হবে ২০ শতাংশ’

ঢাকা: বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজারের মোট বাজার মূলধনের মাত্র ৩ শতাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড দখল করে আছে। যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, আগামীতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতটি শেয়ারবাজারের মেরুদণ্ডে পরিণত হবে। এছাড়া যা বাস্তবায়নে আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। 

শনিবার (১০ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) এর আয়োজিত ‘শেয়ারবাজার ও দেশের অর্থনীতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গুরুত্ব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এএএমসিএমএফ এর সভাপতি ড. হাসান ইমাম।

মিজানুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের কাছে জবাবদিহিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বর্তমান কমিশন আইন-কানুন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই কমিশন চায় অর্থনীতিতে শেয়ারবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো কাঙ্খিত সফলতা পায়নি। যদিও বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থা অন্যদেশের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী ছিল। কিন্তু নানা সুযোগ থাকলেও দেশের ফান্ড ম্যানেজাররা বিনিয়োগের ক্ষেত্রের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি।

এই কমিশনার বলেন, দেশের মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ২০০১ সালের একটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বিদ্যমান আইনে ফান্ড ম্যানেজারদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। ওই আইনে ৪০ শতাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ৩০ শতাংশ ডিবেঞ্চারসহ অন্যান্য পণ্য এবং বাকি ৩০ শতাংশ অ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ ছিল। শিক্ষিত বিনিয়োগকারী হিসেবে ফান্ড ম্যানেজাররা মাকের্টের গতিবিধি বুঝতে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেনি। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ফান্ডগুলো থেকে বিনিয়োগকারীরা কাঙ্খিত লভ্যাংশ পায়নি। ফান্ডগুলো মার্কেটকেও গতিশীল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাফিজ আল তারিক।

অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) এর সভাপতি ড. হাসান ইমাম বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেক্টরের কাঠামোগত বা আইনগত কোন সমস্যা নেই। আসল সমস্যা শেয়ারবাজারের দীর্ঘমেয়াদী মন্দা। যাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেক্টর ভাল লভ্যাংশ দিতে পারছে না।

হাসান ইমাম বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এর ইমেজ সংকট আছে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই সেক্টর নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রায় নীতিনির্ধারক ও ক্যাপিটাল মার্কেট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মন্তব্য দেখি। বেশিরভাগ মন্তব্যই নেতিবাচক। কোনটার পেছনে যুক্তি আছে, কোনটা ভিত্তিহীন। এই নেতিবাচক মন্তব্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড সেক্টর সর্ম্পকে বিরুপ ধারনা তৈরী করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যা ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

সোনালীনিউজ/এলএ/এএস

Wordbridge School
Link copied!