• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘পাসের হার বেড়েছে সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে’


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১১, ২০১৬, ০৩:৪৭ পিএম
‘পাসের হার বেড়েছে সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে’

২৩টি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষার হওয়ায় মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‌‘এ বছর পাশের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ১.২৫ শতাংশ বেশি।’

বিজ্ঞান শাখায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি উত্তীর্ণের সংখ্যাও বেড়েছে বলে মন্ত্রী দাবি করেন।

বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। 

সকাল ১০টায়  গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন তিনি। এ সময় সাধারণ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ সব শিক্ষা বোর্ডে এ বছরের পরীক্ষায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণের সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে সব পাসের হারের পরিসংখ্যানে ছাত্রদের তুলনায় শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি পাস করেছে ছাত্রীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ ভাল ফলাফল হয়েছে।’

সাধারণ ৮ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, যা গত বছর ছিল ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ । এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০৭ জন। 

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর পাস করেছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের এ সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮। বেড়েছে  ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮৭। শতকরা হারে ৮৮ দশমিক ২৯, যা গত বছর ছিল ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। পরিসংখ্যানে পাসের হার বেড়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।  জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১, যা গত বছর ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১।  

নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩৪, যা গত বছর ছিল ৫ হাজার ৯৫। ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১০ মার্চ শেষ হয়। আর ১৫-১৯ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতি বছর তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মাথায় গত কয়েক বছর থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছর ৫৭ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এবার মোট ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২০১ শিক্ষার্থীর মধ্যে সাধারন শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ২৮৪, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৬  এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ৫৮১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা

Wordbridge School
Link copied!