• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পায়ে হেঁটে মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন জিয়া : ফখরুল


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৫, ২০১৬, ০৯:৪৯ পিএম
পায়ে হেঁটে মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন জিয়া : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করা, তার আদর্শ ও দর্শনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যেই বাংলাদেশের সার্বিক মুক্তি সম্ভব। তিনি একদিকে যেমন গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের বাক স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন অন্যদিকে উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে একটি বিপ্লব সূচনা করেছিলেন। উন্নয়নের জন্য টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পায়ে হেঁটে হেঁটে মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন।’

রোববার (১৫ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি, গোটা বাংলাদেশে তার আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে নতুন করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য তারা কাজ করবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যাশা। আজকের প্রেক্ষাপটে যখন আমাদের মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, সেই মুহূর্তে জিয়াউর রহমানের নাম বেশি করে স্মরণ করব। কারণ তিনিই এই জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। আসুন, জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীকে সামনে রেখে গোটা জাতিকে নতুন করে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। তিনি দেশ ও জাতির কঠিন সময়ে আবির্ভূত হয়েছেন। জাতিকে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে ২৬ যখন গোটা জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে ছিল রাজনীতিক সিদ্ধান্তের অভাবে তখন এই সৈনিক স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন। দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি নিজে যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার হরণ হয়েছে। যার ফলে জনগণের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছিল। যারা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল তারা পরাজিত হয়েছেন এবং সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে এসবের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল। এটা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। ২০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

যৌথসভায় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!