চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসির গণিতের ফলাফলের ভুল সংশোধন শেষে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৩৬ জন। আজ বুধবার বিকালে ঘোষিত নতুন ফলে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে ১১১৫ জন।
এ ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাহবুব হাসান বলেন, “গণিতের বহুনির্বাচনীর (এমসিকিউ) ‘গ’ ও ‘ঘ’ সেটের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের প্রশ্নপত্রে ভিন্নতা ছিল। যা প্রধান পরীক্ষক বা অন্য কারও নজরে আসেনি।
“এমসিকিউ অংশের উত্তরপত্রের মূল্যায়নে কিছু প্রশ্নের উত্তরমালায় ভিন্নতা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ভুল বের করে ফলাফলে সংশোধনী আনা হয়েছে।”
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, গণিতের উত্তরপত্রের ত্রুটি সংশোধনের পর পুরো বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৫০২ জন।
গত ১১মে ঘোষিত ফলে এ সংখ্যা ছিল সাত হাজার ৬৬৬জন।
তিনি আরও বলেন, “ত্রুটি সংশোধনের পর চট্টগ্রাম বোর্ডে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১০৬ জনে। আগে এ সংখ্যা ছিল ১৯৯১ জন।”
গণিতের ফলের ত্রুটি সংশোধনের পর চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৪ হাজার ১৫৮জন শিক্ষার্থীর গ্রেড পয়েন্টও পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন করে তিন শিক্ষার্থী পাস করলেও পাসের হারে পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান।
গত ১১ মে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি’র ফল ঘোষণা করা হয়। এতে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
ফল ঘোষণার পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটি অংশ গণিতের খাতা কাটায় কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে নতুন ফলাফল ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল।
এর আগে বরিশালে এবারের এসএসসির প্রকাশিত ফলে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে বহু শিক্ষার্থী ফেল করলে পুনঃমূল্যায়নে অন্তত ২ হাজার জনের ফল সংশোধন হয়।
ফল সংশোধন হওয়াদের মধ্যে এমন একজন শিক্ষার্থীও রয়েছে যে পাস করা শিক্ষার্থীদের তালিকায় নিজের রোল নম্বর না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
অবশ্য সংশোধিত ফলে দেখা যায়, সেই শিক্ষার্থীও ৪.৬৭ পেয়েছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :