• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ চুরি : প্রয়োজনে মামলা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাং


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৯, ২০১৬, ০৮:০৬ পিএম
রিজার্ভ চুরি : প্রয়োজনে মামলা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাং

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

রিজার্ভ চুরির অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

শুভঙ্কর সাহা বলেন, রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সব তথ্য-প্রমাণ দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে মামলা করা হবে।

তিনি বলেন, ফিলিপাইনে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি টিম অর্থ উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের (ডিওজে) আমাদের টিমের আলোচনাও হয়েছে। আমাদের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিট্যন্সসের (পারস্পরিক আইনি সহযোগিতা) যে সুযোগ আছে তার মাধ্যমে অর্থ আদায়ে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কিনা সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।

‘যেহেতু সার্বিকভাবে সব জায়গায় কার্যক্রমগুলো চলছে এবং এই জায়গা থেকে যা যা করা দরকার; সেখানে যদি আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটাও নেবে। আবার মিউচ্যুায়ল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্সির মাধ্যমে যদি করা যায় সেটিও করা হবে। সমস্তকিছু দেশের স্বার্থ বিবেচনায় এবং আইন অনুযায়ী করা হবে’- বলে জানান তিনি।

তবে বিদেশিদের বিরুদ্ধে মামলা করে টাকা আদায়ের প্রয়োজন পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফিলিপাইনে উদ্ধারকৃত বা জব্দ করা টাকা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রসিড অব ক্রাইম। এই টাকাগুলোকে উদ্ধার করা, বাজেয়াপ্ত করার পর এটার বেনিফিশিয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই তাদেরকে কিছু আইন কার্যক্রম বা আইনি পদক্ষেপের আবশ্যকতা থাকাটাই স্বাভাবিক। সেটা তাদের কাছে আছে। সেটার মধ্যদিয়ে যেয়েই তাদেরকে টাকা ফেরত দিতে হবে।’

টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া যে কারণে প্রয়োজন পড়বে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুভংকর বলেন, ‘কাগজে কলমে সন্তুষ্ট থাকতে হবে, এই টাকাটা আসলে আমার। আমার যেমন কাগজ কলম আছে, তার (ফিলিপাইন) কাছেও আছে।  এই বিষয়গুলোর জন্যেই আসলে এই প্রসেডিং, এই সমস্ত কিছু, আইনের নিয়মাচার, নীতিমালা। আগামীতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এই বিচার করেই টাকাটা ফেরত দেওয়া হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রয়োজন পড়লে আমরা তা করবো।’

তবে ফিলিপাইনে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি টিম টাকা উদ্ধারে সে দেশে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা কিন্তু সময় অসময়ে আমাদেরকে বিষয়গুলো জানাচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে পদক্ষেপগুলো নিতে বলবেন সে পদক্ষেপগুলো আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো। ’

পুরো অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যতটুকু আদায় হয়েছে সেই আদায় যদিও প্রায় আট ভাগের এক ভাগ, কিন্তু এটাতে বুঝা যাচ্ছে পুরো টাকাটাই উদ্ধার করা হয়তো সম্ভব হবে, আমরা আশাবাদি। তবে সব তো আর আদায় হয় না; যে খরচ গেল, যে কষ্টটা যাচ্ছে, মনের দিক থেকে যতটা পেরেশানি গেল, ভাবমুর্তিরও একটা বিষয় আছে, আমাদের মনটা যতদিন খারাপ থাকে এগুলোও একটা বিষয় থাকে। এসব তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!