• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হজরত ঈসা (আ.) ছিলেন সব নবি রসুলের মতোই পবিত্র


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০১৬, ০৪:৩৯ পিএম
হজরত ঈসা (আ.) ছিলেন সব নবি রসুলের মতোই পবিত্র

মাওলানা মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, সোনালীনিউজ

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে নবি ও রসুল পাঠিয়েছেন। আনুমানিক হিসাবে এক অথবা দুই লাখ ২৪ হাজার নবি ও রসুলের আবির্ভাব ঘটেছে পৃথিবীতে। যাঁরা মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে নিয়ে যাওয়ার মেহনত করেছেন।

হজরত ঈসা (আ.) ছিলেন অন্যান্য সব নবী-রসুলের মতোই পবিত্র পুরুষ। আল্লাহর কুদরতে পৈতৃক সম্পর্ক ছাড়াই কুমারী মায়ের গর্ভে তার জন্ম হয়। হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর নাজিল হয় আসমানি কিতাব ইঞ্জিল শরিফ। পবিত্র কোরআনে সূরা মারইয়ামে হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্ম সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, আল্লাহ মরিয়মের কাছে জিবরাইল ফেরেশতাকে পাঠান। মানুষের রূপ ধারণ করে তিনি তার সামনে আৎদপ্রকাশ করেন।

জিবরাইল মরিয়মকে বলেন, তোমাকে এক পবিত্র ছেলে দান করার জন্য আল্লাহ আমাকে পাঠিয়েছেন। মরিয়ম ফেরেশতাকে বলেন, কেমন করে আমার ছেলে হবে আমাকে তো কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি। আমি ব্যভিচারিণীও নই। জিবরাইল ফেরেশতা বলেন, আল্লাহর কাছে সব কিছুই সহজসাধ্য। কুমারী নারীর গর্ভে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই সন্তান জন্মদান মানুষের জন্য এক নিদর্শন। এটি আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ এবং স্থিরিকৃত বিষয়। হজরত ঈসা (আ.) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মরিয়ম তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তারা কুমারীর মাতৃত্ব লাভকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখল এবং বলল তোমার পিতা-মাতা অসৎ কিংবা ব্যভিচারী ছিল না, তুমি এ কোনো অদ্ভুত কাণ্ড ঘটালে? চারদিকের তীব্র বাক্যবাণে বিপর্যস্ত মরিয়ম তার সম্প্রদায়ের লোকদের বলল, তোমরা এই শিশুর কাছে জিজ্ঞাসা কর কেন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটল। শিশু হজরত ঈসা (আ.) মরিয়ম সম্প্রদায়ের সব জিজ্ঞাসার জবাব দেন।

পবিত্র কোরআনে হজরত ঈসা (আ.)-এর অলৌকিকভাবে জন্ম সম্পর্কে বলা হয়েছে- 'সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নহে' তিনি পবিত্র মহিমাময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন, 'হও' এবং উহা হইয়া যায়। (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৩৫)। পুণ্যবতী নারী কুমারী মরিয়মের গর্ভে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্ম প্রাকৃতিক নিয়মে অসম্ভব হলেও আল্লাহর কুদরতের কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। মানবজাতিকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করার জন্য হজরত ঈসা (আ.)-কে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। সালাত ও জাকাত আদায়ে তিনি তার অনুসারীদের আহ্বান করেছেন। সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনও ঘটেছে অভিন্ন উদ্দেশ্যে। লেখক : মাওলানা মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইসলামি গবেষক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!