অপহরণের পর কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ময়মনসিংহ: জেলার গৌরীপুর উপজেলায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের পর ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে জেলার ভালুকা উপজেলার স্কায়ার মাস্টার বাড়ি অপহরণ হওয়ার পর সোমবার ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ বাসটার্মিনাল থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় কিশোরী বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গৌরীপুর তাঁতকুড়া ওই কিশোরী ভালুকা উপজেলার স্কায়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কারখানায় যাওয়ার পথে গৌরীপুর উপজেলার নন্দী গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে সাহিদ (২২) তাকে অপহরণ করে। পরে তাকে ভালুকা থেকে সিএনজিযোগে গৌরীপুর উপজেলার গুজিখা গ্রামে শহিদের ভগ্নিপতি মঞ্জুরুল  হকের বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে বোন সাবিনা আক্তারের সহযোগিতায় নেশা বা ঘুমের ঔষধ খাইয়ে সাহিদ তাকে ধর্ষণ করে।

পরদিন (শনিবার) অজ্ঞান অবস্থায় ময়মনসিংহ শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায় ও সেখানে দুইদিন যাবত ধর্ষণ করে সাহিদ। এ সময় মাঝে মাঝে তার জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করতে চাইলে বেদম মারধর করতো সাহিদ, হত্যা করার হুমকি দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে সাহিদ বুঝতে পেরে ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ বাসটার্মিনালে ফেলে রেখে যায়। 

পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে সেখান থেকে রক্তাক্ত জখম ও অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর থানায় নিয়ে আসে। এমন অবস্থায় জরুরী ভাবে মেয়েটিকে প্রথমে গৌরীপুর হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহমেদ জানান- পুলিশ উদ্ধারকৃত মেয়েটির সাথে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কথা বলেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ধর্ষকের বোনজামাই মঞ্জুরুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষক শাহিদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই