• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থমন্ত্রীকে ‘তুলোধুনো’ করলেন প্রধানমন্ত্রী


বিশেষ প্রতিনিধি মার্চ ৪, ২০১৭, ০৫:৪৪ পিএম
অর্থমন্ত্রীকে ‘তুলোধুনো’ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: এবার গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে ধরা খেলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

দারিদ্র্য বিমোচনে ইউনূস এবং ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর এ সমালোচনায় পড়েছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সরকারের পদক্ষেপের ফলেই দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী এমন একজনের কথা বললেন, যার কারণে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ পিছিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত গত ৩ দশক আগে এরশাদ আমলে মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ইউনূসের উদ্যোগে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়, যার অংশীদার হয় সরকারও। বয়সসীমা অতিক্রম করায় কয়েক বছর আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়ার পর এই ব্যাংকটি নিয়ে তার সঙ্গে সরকারের টানাপড়েন চলছে। ইউনূসকে সুদখোর বলেও বিভিন্ন সময় আখ্যায়িত করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করেছিলেন মুহিত। তিনি বলেছিলেন, একসময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ ভূমিকাটি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে।

তার বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেখলাম মাননীয় অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করলেন। যারা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়, তারা ধনশালী হয়। তারা ব্যবসা করে। তারা চায় না, মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তারা ব্যবসা কী নিয়ে করবে।

দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে আসার দিকে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার আমলে দারিদ্র্য ২২ শতাংশে নেমে এসেছে? আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই তা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনে আমরা সফল হয়েছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!