• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইএস বন্দিশালায় ‘যৌনদাসীদের’ হাহাকার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৬, ১০:৫৬ পিএম
আইএস বন্দিশালায় ‘যৌনদাসীদের’ হাহাকার

এরকম নোংরা বিছানায় ঘুমাত মেয়েরা

এই মুহূর্তে আইসিস-এর হাতে বন্দি যৌনদাসীর সংখ্যা প্রায় লাখখানেক। কিছুদিন আগেই সতেরো বছরের এক মেয়ে আইসিসের বন্দিশালা থেকে পালিয়ে এসে গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে নিয়েছিল। কারণ, বিকৃত চেহারা দেখে জঙ্গিরা হয়তো তাকে আর ধর্ষণ করবে না।

৫ বাই ৮ মাপের কংক্রিটের কুঠুরি। দিনের আলোও ঠিকমতো ঢোকে না। দরজার বুকে কাটা গরাদ জানালাটি খুলে দিলে তবেই সূর্যের আলো ঢুকতে পারে। না হলে, দিনের বেলায়ও ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাত হলে সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুতের আলো জ্বলে। কিন্তু, তার পরে আবার সেই অন্ধকার। আলোর দেখা মেলে তখন, যখন তারা কেউ সেলে আসে। আসে তাদের বিকৃত কাম মেটানোর জন্য। আবার অনেককে সেলের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে, যখন কারোর লালসা মেটানোর জন্য ডাক পড়ে। নারকীয় অত্যাচারের এই চিত্র আইএস-এর যৌনদাসীদের বন্দিশালার। 

IS

সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহী সেনারা এমন এক বন্দিশালার সন্ধান পেয়েছে, যেখানে খোঁজ মিলেছে ১০টি সেল থাকা একটি বন্দিশালার। উত্তর সিরিয়ার মানবিজ শহরে খোঁজ পাওয়া এই বন্দিশালার কথা বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আইএস-এর যৌনদাসীদের এই বন্দিশালাই বলে দিচ্ছে ধর্মান্ধ এই জঙ্গি সংগঠনের হাতে বন্দি থাকা মেয়েদের উপরে নির্যাতনের কথা। মানবিজ শহরে যে বন্দিশালার খোঁজ মিলেছে, তার কুঠুরিগুলো যেমন সংকীর্ণ, তেমনি স্যাঁতস্যাঁতে। বিবর্ণ দেয়ালের গায়ে আরবীতে লেখা দোয়া, যা যৌনদাসীদেরই হাতের লেখা বলে মনে করা হচ্ছে।

এমনকি, সেলগুলোর মেঝেতে প্লাস্টিক শিট বা প্লাস্টিকের মাদুর পাতা। তার উপরে রাখা দুর্গন্ধময় এবং নোংরা সব কুশন। এমনই বিছানায় যৌনদাসীদের দিনের পর দিন শুইতে বাধ্য করা হতো। যৌনদাসীদের খাবারের পাত্র দেখলেও চমকে উঠতে হয়। কুকুরদের যেমন ছোট ছোট পাত্রে খেতে দেওয়া হয়, ঠিক তেমনি দুটি করে পাত্র প্রতিটি সেলে মিলেছে। একটি পাত্রে পানি এবং অন্য পাত্রে শুকনো খাবারের অংশও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এসব সেলে যৌনদাসীদেরই রাখা হতো, তার প্রমাণও পেয়েছেন সিরিয়ার বিদ্রোহী সেনারা। একটি সেলে কুশনের উপর মিলেছে মহিলাদের চুল আঁচড়ানোর চিরুনি। 

এছাড়াও সেলের যত্রতত্র মিলেছে গর্ভনিরোধকের বিভিন্ন উপকরণ কন্ডোম, মাদকের ফাঁকা পাউচ। যৌনদাসীদের উপরে এই সেলের মধ্যেই যে আইসিস জঙ্গিরা চড়াও হতো তার প্রমাণ চারিদিকে যেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!