• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনেস্কোকে আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৩১, ২০১৭, ০৬:৩৪ পিএম
ইউনেস্কোকে আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ

ঢাকা: জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল (ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় ‘ইউনেস্কো’র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে আওয়ামী লীগ। 

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিবৃতিতে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ঐতিহাসিক ভাষণ সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল। জাতির পিতার ভাষণে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির দীর্ঘদিনের স্বাধীনতার আকাঙ্খা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে মুক্তিকামী বাঙালির সমস্ত আশা, আকাঙ্খা প্রতিধ্বনিত হয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। একটি ভাষণ একটি জাতির মুক্তির সোপান, একটি ভাষণ একটি ঘুমন্ত জাতির জাগরণের মূলমন্ত্র, একটি ভাষণ নিপীড়িত-নির্যাতিত শোষিত মানুষের মুক্তির দিক-দর্শন, একটি ভাষণ স্বাধীনতার মহাকাব্য, একটি ভাষণ একটি জাতি রাষ্ট্রের চির অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস, একটি ভাষণ মহাকালের অভিশাপ মোচনের মন্ত্র হয়ে চিরকালের স্বপ্ন সারথী হতে পারে তারই জীবন্ত উদাহরণ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালি জাতি এ ভাষণের মধ্য দিয়ে জেনে গিয়েছিল পাকিস্তানী শোসকগোষ্ঠীর সাথে সশ্রস্ত্র সংগ্রাম অনিবার্য। মূলত ৭ মার্চের ভাষণের পরই মুক্তিকামী বাঙালি জাতি সশ্রস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ৭ মার্চের পর পুরো বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান)-এর নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলার পতাকা। এরপর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিশ্বের ধ্রুপদী বক্তৃতাগুলোর অন্যতম হিসেবে ইতোমধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ স্বীকৃত। দেশি-বিদেশী বিভিন্ন পুস্তকে কালজয়ী এ ভাষণটি সংকলিত হয়েছে। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক গবেষকগণ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বহুমাত্রিকতা নিয়ে কাজ করছেন। 

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই কালজয়ী ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাঙালি জাতির চির অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!