• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৯, ২০১৭, ০৮:৫৯ পিএম
ঈদে সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা

সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: ঘরমুখী যাত্রীদের সুবিধা দিতে ঈদের আগের তিন দিন সব মহাসড়কে পণ্যবাহী যান (ট্র্যাক ও পিকআপসহ মালবোঝাই সকল গাড়ি) চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীবাহী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে সকল বাস টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিম মোতায়েন করা হবে। যানজট নিরসনে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়াও ঈদের আগে ও পরে সাত দিন করে দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার (২৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানী ঢাকার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগের সাত দিন ও পরের সাত দিন করে মোট ১৪ দিন সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এবার রোজায় বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিবারই কয়েক দিনের জন্য ওই নিয়ম শিথিল করে সব সময় গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়। এবারও তা করা হবে বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের জানান, ফিটনেসহীন যানবাহন ধরতে এবার মহাসড়কে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া রোজায় শহর এলাকাগুলোয় বিভিন্ন শপিং মলের সামনে পার্কিং ও মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধে কড়াকড়ি থাকবে। ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবারও ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানাবেন তিনি। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, ওষুধ ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

ঈদের সময় যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ এবং ভোগান্তি দূরীকরণে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এই দলগুলো সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে কাজ করবে।

ঈদযাত্রায় যাত্রীর ভিড় কমাতে এবারও পোশাক কারখানাগুলোকে ধাপে ধাপে ছুটি দিয়ে ঈদের পর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কারখানা খোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কাঁচপুর, গাজীপুর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন দিনে পোশাক কারখানা ছুটি দিলে যানজটের চাপ কমতে পারে। সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান সেতু মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) নাজমুল আহসান প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!