• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এ সরকার গেলে নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের সন্ধান মিলবে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২১, ২০১৭, ১১:৩৮ এএম
এ সরকার গেলে নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের সন্ধান মিলবে

ঢাকা : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিখোঁজ ও নিহত নেতাকর্মীদের স্বজনদের নিয়ে ইফতারে খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় এসে যা করেছে তা তাদের কল্পনায়ও ছিল না। তিনি বলেন আজীবন ক্ষমতায় থাকার বাসনা থেকে ক্ষমতাসীনরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গুম’ করেছে।

আওয়ামী সরকার বিদায় হলে নিখোঁজ হওয়া নেতা-কর্মীদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে গুম খুনের শিকার হওয়া পরিবারগুলোর সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খালেদা জিয়া বলেন, আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা নিয়ে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম খুন করেছে। তারা (সরকার) ভেবেছে, বিএনপিকে শেষ করতে গেলে এসব ভালো ছেলেদেরকে শেষ করে ফেলতে হবে, তাহলে বিএনপি দুর্বল হবে। কিন্তু বিএনপির কিছুই হবে না।

খালেদ জিয়া বলেন, আমরা এখনও আশা করি, তারা (নিখোঁজ যারা) আছে, একদিন ফিরে আসবে। আপনারা দেখেছেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলেকেও ধরে নিয়ে গিয়েছিল, কয়েক মাস পর তাকে তার বাড়ির কাছে ফেলে দিয়ে গেছে। এরকম আরেকজন হলো ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন।

তিনি বলেন, আমি আশা করছি, জালেম অত্যাচারী বিদায় হলে দেশে তখন তাদের খোঁজ পাবো, তখন তারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে। আমরা সেই আশায় আছি।

নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের পরিবারের বেদনার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, যারা হারিয়ে গেছে, তারা শুধু আপনাদের ছেলে নয়, আমাদেরও ছেলে। তাদের স্নেহ করতাম, ওরা দলের জন্য অনেক কষ্ট করেছে। তারা (সরকার) যাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে, তারা জানতো যে, এরা ভালো ছেলে, এরা কাজ করে দলের জন্য। ওরা ভেবেছে যে, এসব কর্মীদেরকে শেষ করে ফেলতে পারলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার গুলশানের লেকশোর হোটেলে এই ইফতার মাহফিলে ‘গুম’ ও ‘খুন’ হওয়া নেতাকর্মীদের স্বজনদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার হাতে তুলে দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছাত্রদলের সদ্য  নিহত নুরুল আলম নুরুর শিশু কন্যা উম্মে হাবিবা মীম, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন রেহানা পারভীন মুন্নী, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন আখি, নুরুজ্জামান জনির স্ত্রী মুনিয়া পারভীন, ৩ মাস ১৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর সন্ধান পাওয়া ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনও বক্তব্য দেন।

এছাড়া নিখোঁজ ও নিহত নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপির চৌধুরী আলম, জাহিদুর করিম তানভীর, আলম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. মাসুম. মো. শামীম, মাসুদ হোসেন, মারুফ শেখ, যুব দলের নুরে আলম, আফজাল হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনির, সেলিম শাহিন, মেহেদি আলম মাহাবি, স্বেচ্ছাসেবক দলের এম আদনান চৌধুরী, মো. কাউসার, শ্রমিক দলের ওয়াদুদ ব্যাপারী, ছাত্রদলের আসাদুজ্জামান রানা, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, মো. আলামীন, মাহবুব হোসেন সুজন, সেলিম রেজা পিন্টু, সম্রাট মোল্লা, কাজী ফরহাদ হোসেন, খালেদ হোসেন সোহেল, মো. সোহেল, মো. জহির, মো. পারভেজ হোসেন, মো. চঞ্চল, তরিকুল ইসলাম ঝন্টু, নিজামউদ্দিন মুন্না, তরিকুল ইসলাম তারা, মফিজুল ইসলাম রাশেদ, আবদুল কাদের ভুঁইয়া মাসুম, নুরুজ্জামান জনি, মাহবুবুর রহমান বাপ্পী, আমিনুল ইসলাম জাকির, মাসুদ রানা, মো. জিহাদুর রহমান, মো. রাহাত, মো. জসিম উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, মেহেদি হাসান রাজু, এহসানুল হক খোকন, মিজানুর রহমান টিটু, আরিফুল ইসলাম মুকুল, সাইফুর রহমান সজীব, মো. হাসান, ইফতেখার আহমেদ দিনারের পরিবারের সদস্যরা ইফতারে অংশ নেন।   

বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা শরীফুল আলম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, কাজী আবুল বাশার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!