ঢাকা: মধ্যযুগের কুসংস্কার এখনো পালিত হয়! কী ভাবছেন, মিথ্যা বলছি? না এটাই সত্য। বিশ্বায়নের এই যুগে এখনো ১০০ জন স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন, আবার সেই তালিকায় তার মা, চাচি, দাদি, বড় দাদিও রয়েছে। তাহলে এই প্রথাকে মধ্যযুগের কুসংস্কার কেন বলা হবে না।
ক্যামেরুনের সবচেয়ে প্রাচীন রাজ বংশ বাফুটের এগারতম রাজা আবুম্বি (৬০)। আবুম্বির এখনো ১০০ জন স্ত্রী বা রানী রয়েছে। তবে তিনি নিজে এক সঙ্গে এত সংখ্যক নারীকে বিয়ে করেননি। উত্তরাধিকার সূত্রে যেমন তিনি রাজত্ব পেয়েছেন; ঠিক তেমনি পেছেন রানীও।
সেখানকার প্রথা অনুযায়ী, রাজার উত্তসূরিদের মধ্যে থেকে যে রাজ্য প্ররিচালনার ক্ষেত্রে সফল এবং বীরত্তের পরিচয় দিয়েছেন তিনিই পরবর্তীতে রাজা হন। সেই সাথে তার পূর্ববর্তী রাজাদের স্ত্রী অর্থাৎ তার মা, দাদিসহ সকলেই রানী হয়ে থাকে।
তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই রানীদের মধ্যে এক ধরণের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু রাজার উত্তসূরীদের মধ্যে এ নিয়ে অভিযোগ নেই। প্রিন্স নিকসন বলেন, ‘রানীদের এই প্রক্রিয়াটি মহান।’ নিকসন রাজা আবুম্বি মারা গেলে উত্তসূরী হিসেবে সিংহাসনে বসবেন।
রাজা আবুম্বি’র তৃতীয় স্ত্রী রানী কনস্ট্যান্স বলেন, ‘পুরুষের সফলতার পিছনে নারীর অবদান থাকে, তাই এই প্রথা অবশ্যই একটি গোড়া প্রথা।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের ঐতিহ্যটি হচ্ছে যে আপনি যখন রাজা হন, তখন বয়স্ক স্ত্রীগণ ঐতিহ্যকে অল্পবয়সী স্ত্রীদের হাতে তুলে দিতে এবং রাজাকে ঐতিহ্যকে শিক্ষা দেয় থাকে। কারণ, বর্তমান রাজাতো আর রাজা ছিলেন না।
যদিও ক্যামেরুনে বহুবিবাহ বৈধ না তা সত্ত্বেও, পরিসংখ্যানে দেখায় আফ্রিকান মহাদেশ জুড়ে অনেক বহুবিবাহের প্রচলন রয়েছে।
সেই প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের এই প্রথা চলে আসছে। তবে আধুনিক যুগে এই প্রথার কিছু পরিবর্তনের পক্ষে আমরাও। তাছাড়া আমাদের যুবতী স্ত্রীরাও চায় প্রথার পরিবর্তন আসুক। আমারও চাই ব্রিটেন, ফ্রান্সের মত রাজতন্ত্র চালু করতে। বলে জানান বর্তমান রাজা দ্বিতীয় আবুম্বি। যিনি প্রায় ৪৭ বছর যাবৎ রাজত্ব পরিচালনা করে আসছেন। সূত্র: সিএনএন।
ভিডিও:
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই
আপনার মতামত লিখুন :