• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওজোপাডিকোর আবাসিক ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস


আব্দুস সালাম আরিফ, পটুয়াখালী ডিসেম্বর ২, ২০১৬, ০১:৩৫ পিএম
ওজোপাডিকোর আবাসিক ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

পটুয়াখালী: ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) সাবেক পিডিবির কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক ভবনগুলো এখন রীতিমতো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনেও এসব ভবন সংস্কার না করায় ছাদের পলেস্তারাসহ রড খুলে পড়ছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ভবন সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।

সরজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালী জেলা শহরের মানুষকে আলোকিত রাখতে দিন রাত ব্যস্ত থাকা শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে সার্বক্ষণিক ঝুঁকির মধ্যে। পটুয়াখালী শহরে পাওয়ার হাউজ কলোনি হিসেবে পরিচিত এই কম্পাউন্ডের ভবনগুলো স্বাধীনতার আগে ও পরে নির্মিত। বিগত কয়েক বছরে এসব ভবন ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের দরজা-জানালাগুলো খুলে পড়েছে। ফলে অনেকেই নিজেদের খরচে টিন, বাঁশের চাটাই কিংবা পলিথিন দিয়ে কোনোরকম থাকার উপযোগী করে নেয়ার চেষ্টা করছে। এরপরও বেতনের ২০ শতাংশ ভাড়া দিয়ে জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়েই অর্ধশতাধিক পরিবারকে এখানেই থাকছে হচ্ছে। ছাদের পলেস্তারা পড়ে কলোনিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আর ভুক্তভোগীরাও বলছেন তাদের ঝুঁকিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।

কলোনির বাসিন্দা শামসুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘মানুষকে আলোকিত রাখতে আমরা দিন রাত কাজ করছি আর আমরা পরিবার পরিজনসহ সার্বক্ষণিক ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছি। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কলোনিতে বসবাসকারী সোবাহান বলেন, ‘নাতীদের সঙ্গে গল্প করছি, ঠিক সেই সময়ে ছাদের বড় একটি পলেস্তারা খসে পড়ে। আমরা যদি ওই স্থান থেকে না সরতাম তবে আজ আমাদের পরিবারে কান্নার রোল পড়তো।’

কথা হয় গৃহিনী তাসলিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাসার ছাদের পলেস্তারা খসে খাবারের উপরে পড়ে অনেক সময়ে খাবার নষ্ট হয়। কোনো মেহমান এলে তাদের সামনে নাশতা দিলে তা নষ্ট হয়। মেহমানের সামনে লজ্জা পেতে হয়। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের থাকার ভবনটি সংস্কার করে দিন।’ 

আরেক গৃহিনী শামসুন নাহার জানান, ছাদের সঙ্গে পলিথিন দিয়ে রাখা হয়েছে। ভূমিকম্প হলে ভবন কাঁপে। মনে হয় এখনই ভেঙে পড়বে।

এদিকে এ সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। তাইতো তাদের মুখে দীর্ঘদিনের সেই পুরাতন আশার বাণী।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!