• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কখন রাখবেন শাওয়াল মাসের ৬ রোজা?


ধর্ম ডেস্ক জুলাই ১১, ২০১৬, ০৪:৩৫ পিএম
কখন রাখবেন শাওয়াল মাসের ৬ রোজা?

রমজানের এক মাস সিয়াম-সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিনটি আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য আনন্দের দিন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। যে দিনে আমরা ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করে থাকি। এ দিনে রোজা রাখা হারাম। ঈদ পরবর্তী সময়ে শাওয়ালের ছয় রোজা পালনে রয়েছে অনেক ফজিলত। আসুন জেনে নিই শাওয়ালের ফজিলতপূর্ণ ৬ রোজা রাখার সময়-

রোজা রাখার সময়-
ঈদ পরবর্তী শাওয়াল মাসের রোজা রাখার উত্তম সময় হল ঈদের পরের ৬ দিন। কারণ রমজান ও ঈদ পরবর্তী সময়ে রোজায় পালনে রয়েছে নেক আমলের প্রতি ধাবিত হওয়ার প্রমাণ। আর এ কথাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখার পরে-পরেই শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালন করে। তবে সে যেন সারা বছরই সিয়াম বা রোজা পালন করল। (তিরমিজি)

এ হাদিসের উপর ভিত্তি করেই একদল আলেম এই ছয় দিনের রোজাকে মোস্তাহাব বলেছেন। তাছাড়া হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাক বলেন, প্রতি মাসের তিন দিন (আইয়্যামে বিজের) রোজা রাখার মতো শাওয়ালের ছয় দিন রোজা রাখাও উত্তম আমল।

কিভাবে রাখবেন এ রোজা-
শাওয়ালের রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখাই ফজিলতপূর্ণ। তবে লাগাতার না রেখে বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা চলে। এবং শাওয়াল মাস চলে গেলে তা কাযা করা জরুরি নয়। যেহেতু তা সুন্নত এবং তার যথাসময় পার হয়ে গেছে। তা কোনো ওজরের ফলে হোক আর বিনা ওজরে হোক। সুতরাং সম্ভব হলে এ রোজা একাধারে পালন করা। অথবা বিচ্ছিন্নভাবেও এ রোজা পালন করা যায়।

জানা থাকা ভাল-
যাদের রমজানের রোজার কাজা আছে, তাদের জন্য শাওয়ালের রোজা রাখা জরুরি নয়। যেমন কাফফারার রোজা না করে শাওয়ালের রোজা রাখা চলে না। তাই আগে রমজানের রোজার কাজা আদায় করা। অতঃপর সম্ভব হলে শাওয়ালের রোজা আদায় করা।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাওয়াল মাসের রোজা পালনের মাধ্যমে সারা বছর রোজা রাখার ফজিলত অর্জন করার জন্য তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলাই উত্তম ফজিলত দানকারী। তাঁর কাছেই যাবতীয় কল্যাণ লাভে মুমিন বান্দার বিনীত আবেদন। আমিন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!