• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাজে ফিরলেন বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা


বরিশাল ব্যুরো মার্চ ২০, ২০১৮, ১০:৪১ পিএম
কাজে ফিরলেন বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রতীকী ছবি

বরিশাল: বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে টানা ৩১ দিন পর কর্মবিরতির অবসান হলে কাজে ফিরলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আপোষ হলে আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টায় কাজে ফেরার ঘোষণা দেন। এ সমঝোতার নেপথ্যে ছিলেন মন্ত্রীর পদমর্যাদাপ্রাপ্ত আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান নগর ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবারের (২১ মার্চ) মধ্যে ২ মাসের বেতন ও ৩টি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অস্থায়ীরা ২ মাসের বেতন পাবেন। অবশিস্ট বকেয়াসহ বিসিসির যাবতীয় সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আগামী ২৭ মার্চ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ফের বৈঠক হবে। মেয়র আহসান হাবিব কামালও একই বক্তব্য দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান সবাইকে কাজে যোগদানের ঘোষণা দেন।

এরপর জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে দুপুর ১২টায় নগর ভবনে প্রবেশ করেন। এর মাধ্যমে টানা ৩১ দিনের অচলবস্থার সাময়িক অবসান হলো।

জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ততা রয়েছে। তাই ২৭ মার্চ তারা মেয়র ও আন্দোলনকারীদের নিয়ে সভা করে বিসিসি যাবতীয় সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের একজন করধার্য শাখার কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রশাসনের আহ্বানে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন।

সমঝোতার নেপথ্যেঃ স্থায়ীদের ৬ মাসের বেতন ও ২৩ মাসের প্রভিডেন্ট এবং অস্থায়ীদের ৩ মাসের বেতনের দাবিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি শুরুর পর ২৪ ফেব্রুয়ারি নগর ভবনে মেয়র কামালের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক ভেস্তে যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে মেয়র কামালও নগর ভবনে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
অন্দোলনকারীরাও ঘোষণা দেন বেতন প্রদান ছাড়া মেয়র কামালকে নগর ভবনে ঢুকতে দেবেন না। উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য একপক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করে যার যার অবস্থানে অনঢ় থাকায় এ অচলবস্থার কোনো সমাধান হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) নগরীর কালিবাড়ি সড়কে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বাসভবনে সাক্ষাৎ করলে তিনি সংকট সমাধানের দায়িত্ব নেন।

জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, হাসানাত আবদুল্লাহর নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী ও মেয়রের সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করা হয়। সর্বশেষ সোমবার (১৯ মার্চ) রাতে সার্কিট হাউজে বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে বিসিসির অচলবস্থার সাময়িক সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়। ২৭ মার্চ ফের সভা করে এর চূড়ান্ত সমাধান দেয়া হবে।

২২ দিন পর নগর ভবনে মেয়র: কর্মবিরতি শুরুর পর ২৬ ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের দায়ী করে তিনি ওইদিনই ঢাকায় যান। এক সপ্তাহ পর তিনি বরিশালে ফিরলেও আর নগর ভবনে যাননি। সোমবার (১৯ মার্চ) রাতে সমঝোতার পর কাউন্সিলর ও ঠিকাদারদের নিয়ে শোডাউন করে মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বেলা পৌনে ১২টায় নগর ভবনে যান মেয়র কামাল। আগে থেকেই বিসিসির অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নগর ভবনের প্রধান গেটের বাইরে মেয়রকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় ছিলেন। মেয়র নগরভবনে পৌছালে তার অনুসারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!