খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর চলছে

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর দলের নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

পূর্বঘোষিত এ কমসূচিতে যোগ দিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই নয়াপল্টনে আসতে শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। 

এরমধ্যে কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

ঢাকা ছাড়াও, সারাদেশ থেকেই গণস্বাক্ষর অভিযানের খবর আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মেহেরপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও ময়মনসিংহ বিএনপি গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছে।

জিয়া অরাফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর এটি বিএনপির তৃতীয় দফা কর্মসূচি। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি, ১০ ফেব্রুয়ারি থানা, উপজেলা, জেলা মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন, ১৩ ফেব্রুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ও ১৪ ফেব্রুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির এই পাঁচদিনের কর্মসূচি পালন ছাড়াও বিদেশি কূটনৈতিক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, আইনজীবী ২০ দলীয় জোটসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই