• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মেই মারা যায় ১০ লাখ শিশু


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮, ০১:৩০ পিএম
জন্মেই মারা যায় ১০ লাখ শিশু

ঢাকা : বিশ্বে বছরে দিনে জন্মেই মারা যায় প্রায় দশ লাখ শিশু। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, জন্মের এক মাসে আরো মারা যায় ১৬ লাখ শিশু।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউনিসেফ। পাকিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং আফগানিস্তানে শিশুমৃত্যুর হার সর্বাধিক। ৮০ শতাংশের বেশি শিশু অকালে, জন্মের সময়কার জটিলতা কিংবা সংক্রমণের শিকার হয়ে মারা যায়। দক্ষ ধাত্রী, পরিষ্কার পানি এবং অন্য সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই মৃত্যুহার কমানো সম্ভব বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হেনরিত্তা ফোর এ বিষয়ে জানান, ‘এই মৃত্যুর অধিকাংশই চাইলে ঠেকানো সম্ভব। আমরা বিশ্বের দরিদ্র শিশুদের হারাচ্ছি।’

দারিদ্রতা, সংঘাত এবং দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির কারণে অনেক প্রসূতি ও শিশু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। পাকিস্তানে প্রতি ২২ শিশুর এক শিশু জন্মের এক মাসের মধ্যে মারা যায়। দেশটির থারপারকার জেলায় সর্বাধিকসংখ্যক নবজাতকের মৃত্যু হয়। ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের নিচে ১৫০০ শিশু মারা যায় ওই জেলায়।

স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে, দারিদ্রতা এবং অপুষ্টির কারণেই ওই শিশুরা মারা গেছে।

অন্যদিকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে প্রতি ২৪ নবজাতকের একজনের মৃত্যু হচ্ছে একই কারণে। গত ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে সহিংস পরিস্থিতির কারণে অনেক নারীই সন্তান জন্ম দিতে হাসপাতালে যেতে পারেনি। দেশটির রাজধানী বাঙ্গুইতে শিশু হাসপাতাল মাত্র একটি। সরকারি অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ওষুধ সঙ্কটের কারণে চাইলেও চিকিৎসা দেওয়া যায় না অনেক নবজাতককে। এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতায় সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতিতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরো দুর্লভ হয়ে গেছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়, দেশটিতে হাসপাতালে প্রতিদিন জন্ম নেওয়া প্রতি ৩০ নবজাতকের মধ্যে দুজন মারা যায়। অবশ্য শিশুমৃত্যুর কারণ হিসেবে মেয়েদের অল্পবয়সে বিয়েকে দায়ী করছে অনেক সংস্থা। গার্লস নট ব্রাইডস নামের একটি দাতব্য সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে ৭০০ মিলিয়ন নারী এবং মেয়ে রয়েছে, যাদের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়েছিল। ইতোমধ্যে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুহার কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!