• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিকা আর ‘হুমকি’ নয়: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ১৯, ২০১৬, ০৪:৫৫ পিএম
জিকা আর ‘হুমকি’ নয়: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা

জনস্বাস্থ্যের জন্য জিকা ভাইরাস আর ‘হুমকি’ হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। মশাবাহিত এই রোগটি ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিকভাবে একটি আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায়। জিকায় সাধারণ গর্ভবতী নারীরা আক্রান্ত হয়, যার প্রভাব পড়ে গর্ভের সন্তানের ওপর।

জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুরা ছোট মাথা নিয়ে জন্মা গ্রহণ করে। এদিকে ফ্লোরিডায় নতুন করে জিকা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। একে যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি প্রবেশের বার্তা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ভাইরাসটি জনস্বাস্থ্যের জন্য এখন আর ‘হুমকি’ নয় উল্লেখ করে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এক সময় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি নিয়ে অনেক রহস্য উদঘাটন হয়েছে। অনেক কিছু এখনো অবশিষ্ট।

ডব্লিওএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহকারি পরিচালক ড. পিটার সালামা বলেন, শঙ্কা এখনো কাটেনি। আমরা বিষয়টি অবহেলাও করছি না। তবে জিকা ভাইরাস নিয়ে আর আমাদের জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না এমনটা আশা করা যায়।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড্যানিয়েল ইপস্টেইন বলছেন, ‘এখনো অন্তত ৭৫টি দেশে এটি আবারো মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যদি সেখানে মশা নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হয়। সেই সঙ্গে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের কর্মসূচিগুলোও অব্যাহত রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

চিকিৎসকদের মতে, জিকা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজনের আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, ফুসকুরি ও অস্থিঃসন্ধিতে ব্যথা থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও এর বাইরে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণটি মোকাবিলায় এবার দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে ডব্লিউএইচও।

১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের মধ্যে প্রথম জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ার প্রথম মানব শরীরে জিকার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর থেকে আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

সোনালীনিউজ/ ঢাকা/ আরএস

Wordbridge School
Link copied!