জীবনে অনেক বড় কিছু পাওয়ার আশায় ছোট ছোট অনেক কিছু ভুলে যাই আমরা। ভুলে যাই, সম্মানবোধ, সম্পূর্ণরূপে সৎ থাকার সদিচ্ছা, নীরবতা উপভোগ করা। কিংবা কখনও বাবা-মাকে বাদ নিয়ে অন্যকে নিয়ে চিন্তা করি। কাউকে হয়তো ক্ষমা করি দিচ্ছি কিন্তু মনে মনে মেনে নিতে পারছি না।
এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জীবনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। যা অবহেলা করলে অনেক বিপত্তির আশঙ্কা থাকে।
আমরা জানিই যে অন্যকে সম্মান করলে নিজে সম্মানিত হওয়া যায়। এরপরেও আমরা ভুলে যাই। আসলে দাম্ভিকতা, আত্ম-অহংকার ইতিবাচক কিছু দেয় না, আর তা আশা করাও বৃথা। অন্যকে সম্মান করা, তার মধ্যের ইতিবাচক বিষয়ের সন্ধান করায় কি যে আনন্দ! কাউকে ভালোবাসার মধ্যে কত যে শান্তি। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে তাকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে এভাবেই উপভোগ করা যায়।
জীবনে হয়তো অনেক ছোট হয়ে যাই, কাউকে সম্মান জানাতে গিয়ে নিজেকে ছোট করে নিই- দেখবো ইতিবাচক কিছু আপনার সামনে এসে হাজির হবেই। অতিরিক্ত অসৌজন্যবোধের আচরণ পরিহার করে নিজেকে আগামীর জন্য সফলভাবে তৈরি করা উচিত।
মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অন্যের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা- এসব অনেক খারাপ অভ্যাস। যা পরিহার করতে হবে। আমাদের একটি সত্য কথা অনেকের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে। মাঝে মাঝে কিছু সত্য আছে যা আমাদের কলুষমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। সব সময় নিজের ভেতরের সৎ চেতনার বিকাশ ঘটায়।
এই পৃথিবীতে মানুষ সারাক্ষণ অনেক শব্দের মধ্যে বসবাস করে। কখনও ফোনে, টিভি, রেডিওতে কিংবা অন্যান্য ডিভাইসে মানুষ সংযুক্ত থাকে। এটা হয়তো প্রয়োজনও হয় জীবনে। কিন্তু কখনও কখনও নীরবতারও প্রয়োজন রয়েছে। যে নীরবতায় মানুষের মনে প্রশান্তি বিরাজ করে। এতে মানুষ মনের ভাবনাগুলো, নিজের ধ্যান-জ্ঞানে সঠিক উদ্দেশ্য আলোকিত করে তুলতে পারে।
এটা অবধারিত সত্য যে, পৃথিবীতে আসার প্রধান কারণ আপনার আমার বাবা-মা। তাদের কখনও যেন আমরা অসম্মান না করি। সব সময় তাদের সম্মান করা উচিত। জীবনে কখনও বাবা-মার আসনে অন্য কাউকে না বসাই। একমাত্র মা-বাবাকে শ্রষ্ঠা স্বয়ং নির্বাচন করে আমাদের হাজারো বিপদ থেকে উদ্ধারে পথ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
আমরা সবাই জানি ক্ষমা করে দেয়া মহৎ গুণ। কারো কোনো ভুলের জন্য তাকে যদি ক্ষমা করে দেন, তবুও তার কৃতকর্মের কথা কখনো ভুলবেন না। জীবনে বন্ধুত্বের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো। এর জন্য অনেক সময় অনেক কথা ভুলতে হয়। কিন্তু আপনার যে ক্ষতি করেছে, তার সে ক্ষতির কথাটি ভুলবেন না। কারণ ক্ষতিকারক মানুষ কোনোদিনও আপনার আর উপকারে আসবে না। যদি আসে তো বুঝবেন আবারও ক্ষতি করছে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
আপনার মতামত লিখুন :