ঢাকা: ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জেরুজালেমে চলমান সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুয়েতেরেজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমের পরিস্থিতিতে আমি বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছি। এই সংকট সমাধানে সব রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও স্থানীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ ওই বিবৃতিতে তিনি ইসরায়েলকে সহিষ্ণু হওয়ার আহবান জানান।
১৪ জুলাই গোলাগুলির ঘটনায় তিন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হওয়ার পর জেরুজালেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সংঘর্ষে আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশে দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। ২১ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদে পথকেই জায়নামাজ বানিয়ে নেয় ফিলিস্তিনি মুসলিমরা। কিন্তু সেখানেও থেমে ছিল না ইসরায়েলি বাহিনী। আল জাজিরার এক ভিডিওতে দেখা গেছে, নামাজ আদায়রত এক মুসল্লিকে লাথি মারছে ইসরায়েলের এক পুলিশ সদস্য। জেরুজালেম আর পশ্চিমতীর উত্তাল হয়ে ওঠেছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে।
এর পর চলতি সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসায় ইসরায়েল। এছাড়া জুমার নামাজে ৫০ বছরের কম বয়সীদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয় তারা। পরে মেটাল ডিটেক্টর সরে নিতে বাধ্য হয় ইসরাইল।
ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সমর্থন জানায় তুরস্ক, সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেয়শিয়ার মুসলিমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করে ইসরায়েল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ, পোপ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা। পরিস্থিতি শান্ত করতে ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এরদোয়ান। সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই
আপনার মতামত লিখুন :