ঢাকা: আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির সদস্যরা ফের বৈঠকে বসেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি গঠিত কমিটির কাছে ২৫টি রাজনৈতিক দল নাম দিয়েছে। দুটি দল নাম না দিলেও চিঠি দিয়ে নাম না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে।সেই নাম নিয়ে আলোচনায় বসেছে সার্চ কমিটি।
মঙ্গলবার (৩১) জানুয়ারি বিকেলে এ বৈঠক শুরু হয়। বিকেল চারটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নামগুলো কমিটির কাছে দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা এই নামগুলো যাচাই-বাছাই করতে বিকেল চারটার কিছু পরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে বসেছেন। বেলা পৌনে চারটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ও অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ সচিবালয় থেকে নাম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে কমিটির সদস্যরা বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
বৈঠকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে কি কি করা যায় তার আলোচনা হবে। গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও সৎ লোকদের নিয়ে কমিশন গঠন নিয়ে দেশে আলোচনা চলছে। সার্চ কমিটিও চেষ্টা করছে যাতে কোনো বিতর্কিত লোকদের নাম নতুন কমিশনে না আসে। একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএমএ ফায়েজ, আইনজীবী সুলতানা কামাল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষক তোফায়েল আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা সার্চ কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেই বৈঠকে সর্বশেষ যোগ দিয়েছিলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদার সবার শেষে বৈঠকে পৌঁছান।
সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকের পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন কমিশনের জন্য পাঁচটি করে নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বুধবার এই সার্চ কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য নাম প্রস্তাবের দায়িত্ব দেন। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহা হিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।
এই কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, নির্ধারিত ১০ কার্যদিবস, অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সার্চ কমিটির সব কার্যক্রম শেষ করে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন কমিশন পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন।
সোনালীনিউজ/আতা
আপনার মতামত লিখুন :